বুধবার পশ্চিমবঙ্গের চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা, নদিয়ার রানাঘাট-দক্ষিণ, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ও কলকাতার মানিকতলা বিধানসভায় মোট ৩৪ জন প্রার্থী রয়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটদানের হার কত?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সকাল ৯টা পর্যন্ত গড় ভোটদানের হার ১০.৮৫ শতাংশ। রাজ্যের চার কেন্দ্রের মধ্যে ভোটদানের হারে এগিয়ে রায়গঞ্জ। এই আসনে ভোট পড়েছে ১২.০১ শতাংশ। তার পরই রয়েছে রানাঘাট দক্ষিণ (১১.৫৮ শতাংশ)। বাগদায় ভোটদানের হার ১০.৬১ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে (৯.০১ শতাংশ)।
রানাঘাটে বিক্ষিপ্ত অশান্তি
সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ঘণ্টা ২ অতিক্রান্ত। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ। তবে রানাঘাটের কয়েকটি জায়গায় অশান্তির ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে পায়রাডাঙ্গা এলাকায় বিজেপির এজেন্টদের বাড়িতে তান্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত এলাকা। এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা বলেছে বলে খবর। বিজেপি এজেন্টের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের পায়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম বিশ্বাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
কলকাতার মানিকতলায় তৃণমূল বিধায়ক সাধন পান্ডের মৃত্যু হওয়ার কারণে নির্বাচন হচ্ছে। রায়গঞ্জে বিজেপির টিকিটে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। আর এবছর লোকসভা নির্বাচনে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে তৃণমূলের হয়ে রায়গঞ্জ আসনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, বাগদা আর রানাঘাট-দক্ষিণ বিধানসভাতেও বিজেপির টিকিটে ২০২১ সালে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দিয়ে এবারের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছেন বিশ্বজিৎ দাস ও মুকুটমণি অধিকারী। এবার উপনির্বাচনে রায়গঞ্জ আসনে কৃষ্ণ কল্যাণী এবং রানাঘাট-দক্ষিণ আসনে মুকুটমণি অধিকারী ঘাসফুল শিবিরের টিকিট পেলেও বিশ্বজিৎ দাস প্রার্থী হতে পারেননি।
আর মানিকতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডেকে। বাগদা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন মধুপর্ণা ঠাকুর।
রায়গঞ্জ, রানাঘাট-দক্ষিণ ও মানিকতলায় তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও কংগ্রেস-বাম জোটের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। আর বাগদা বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস জোটে জট তৈরি হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেস ওই কেন্দ্রে আলাদাভাবে প্রার্থী দেওয়ায় চর্তুমুখী লড়াই হচ্ছে।
মানিকতলায় সুপ্তি পাণ্ডের বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ও বাম প্রার্থী রাজীব মজুমদার। রায়গঞ্জে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন মানসকুমার ঘোষ। আর কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত। রানাঘাট দক্ষিণে বিজেপির পদ্ম শিবিরের টিকিট পেয়েছেন মনোজ কুমার বিশ্বাস। আর বামেদের হয়ে লড়াইতে রয়েছেন অরিন্দম বিশ্বাস। বাগদায় বিজেপি প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাস। বামেদের তরফে লড়াই করছেন গৌরাদিত্য বিশ্বাস এবং এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অশোককুমার হালদার।
লোকসভা ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যে পদক্ষেপ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন সেই একই পথে এবারও হাঁটছে তারা। এই ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের চার কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য থাকবে ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই চার কেন্দ্রে মোট ১৪২টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে রানাঘাট দক্ষিণে, ৬২টি। বাগদা, মানিকতলা এবং রায়গঞ্জে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৯, ২১, ২০টি। আর চার কেন্দ্রের মধ্যে রায়গঞ্জে থাকছে ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, রানাঘাটে থাকছে ১৯ কোম্পানি, বাগদায় থাকছে ২০ কোম্পানি বাহিনী এবং মানিকতলায় থাকছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
মানিকতলা বাদে বাকি তিন আসন অর্থাৎ বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জিতেছিল বিজেপি।
কোন দল কোন কেন্দ্রে এগিয়ে?
লোকসভা ভোটের ফল বলছে রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট— এই তিন কেন্দ্রেই এগিয়ে বিজেপি। মানিকতলায় এগিয়ে তৃণমূল।
চলতি বছর জুন মাসে শেষ হওয়া লোকসভা ভোটের নিরিখেও রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ এবং বাগদা বিধানসভা আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। তাই উপনির্বাচনেও যে তারা জয়ের ধারা বজায় রাখতে চাইবে তা স্পষ্ট। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস যে ফল করেছে তাতে এই উপনির্বাচন যে বিজেপির জন্য খুব সহজ হবে তাও নয়।
চলছে ভোটগ্রহণ
সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও অনেক বুথেই এখনও ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি। কোথাও কোথাও আবার মকপোল চলছে। বাগদা বিধানসভার হেলেঞ্চা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১৩১ নম্বর বুথে চলছে মকপোল। এ ছাড়াও, চার বিধানসভার বিভিন্ন বুথের বাইরে ভোটাররাও একে একে এসে জড়ো হচ্ছেন।
আঁটসাঁট নিরাপত্তা
চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশের পাশাপাশি, এই ভোটেও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চার কেন্দ্রের জন্য মোট ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করেছে কমিশন। তার মধ্যে বাগদায় থাকবে সবচেয়ে বেশি বাহিনী। সেখানে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এ ছাড়াও রানাঘাট দক্ষিণে ১৯ কোম্পানি, রায়গঞ্জে ১৬ কোম্পানি এবং মানিকতলায় ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে কমিনশন।
এবার কোন রং পছন্দ বাগদার?
বাগদা কেন্দ্রে এ বার লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। ২০২১ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির টিকিটে বাগদার বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। লোকসভায় বনগাঁ কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার পর তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে বাগদায়।
কিন্তু লোকসভা ভোটে শিকে ছেঁড়েনি বিশ্বজিতের। বনগাঁয় দ্বিতীয়বারের জন্য জিতে সাংসদ হয়েছেন বিজেপির শান্তনু ঠাকুর। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল ভালো ফল করলেও বাগদায় বিজেপির থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকায় চিন্তা বেড়েছে শাসক শিবিরে। গত কয়েক দিন ধরে বাগদা চষে বেড়িয়েছেন তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা-মন্ত্রী সুব্রত বক্সী, রথীন ঘোষ, পার্থ ভৌমিক, নারায়ণ গোস্বামী, মমতাবালা ঠাকুর এবং বিশ্বজিৎ দাসরা।
বাগদায় এ বার বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া আটকাতে মরিয়া শাসকদল। রাজ্যের মধ্যে বয়সে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে বাগদায় তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন ঠাকুরবাড়ির সদস্য, শান্তনু ঠাকুরের জ্যেঠতুতো বোন প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। অন্যদিকে, জয়ের ধারা বজায় রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবিরও। কিন্তু দলের ‘বহিরাগত’ প্রার্থী বিনয় বিশ্বাসকে মেনে না নিয়ে বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবির নির্দল প্রার্থী দেওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে পদ্ম শিবিরে।
উত্তর ২৪ পরগনার একেবারে সীমান্ত লাগোয়া বাগদা বাম জমানায় ফরোয়ার্ড ব্লকের দখলে ছিল। ২০১১ সালে বাগদা থেকে তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন উপেন বিশ্বাস। ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেসের জোটের বিধায়ক হয়েছিলেন দুলাল বর। তিনি অবশ্য পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ২০২১ সালে এই কেন্দ্রে বিজেপির বিধায়ক হন বিশ্বজিৎ দাস।
তিনিও পরে তৃণমূলে ফিরে আসেন। বারবার বিধায়ক পরিবর্তন হলেও বাগদার উন্নয়ন সে ভাবে হয়নি। ফলে না পাওয়ার ক্ষোভে ২০১৯ এবং সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাগদার মানুষ দলবদলুদের থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বাগদা ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটি পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে। উপনির্বাচনে বাগদা পুনরুদ্ধারে ঠাকুরবাড়ির প্রতিনিধি মধুপর্ণাকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বনগাঁ লোকসভার অধীনে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রেই মতুয়া ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মতুয়া, নমশূদ্র মিলিয়ে প্রায় ৬৩%। তফসিলি ভোটার রয়েছে প্রায় ১২%। লোকসভা ভোটে সংখ্যালঘু ভোট শাসকদলের পাশে থাকলেও মুখ ফিরিয়েছেন মতুয়া ও নমশূদ্ররা। মতুয়া অধ্যুষিত বাগদা বিধানসভায় রয়েছেন ৩৮৫ জন দলপতি। পাগল, গোঁসাইদের নিয়ে এই দলপতিরাই মতুয়াদের পরিচালনা করেন।
দলপতিদের একটা বড় অংশ তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অনেকেই রয়েছেন বিজেপি শিবিরে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী অ-মতুয়া বিশ্বজিৎ দাসের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বাগদার মতুয়া ভোটাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলপতি বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে বিশ্বজিৎ দাসকে মতুয়ারা মেনে নিতে পারেননি।’
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ঠাকুরবাড়ির প্রতিনিধি এবং তৃণমূলের প্রার্থী মধুপর্ণা নতুন মুখ হওয়ায় মতুয়াদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বাগদা কেন্দ্রে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীদের ভোট কাটাকুটি এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী গৌর বিশ্বাসের সমর্থনে সিপিএমের ভোট ফিরে এলে আখেরে উপনির্বাচনে লাভ হতে পারে তৃণমূলের।
বাগদার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘আমরা সকলে মিলে একজোট হয়ে প্রচার করছি। বাগদার রং এ বার সবুজ হবেই।’
ভোট চলছে বাগদায়। বাগদায় উপনির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। বাগদা কেন্দ্রের জন্য মোতায়েন হয়েছে কুড়ি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। থাকছে তিরিশটি ক্যুইক রেসপন্স টিম। বাগদা বিধানসভার ৩০১টি বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৩৯টি।
বাগদা বিধানসভা এলাকায় ১২টি পঞ্চায়েত রয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ভোটার ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০৯। তার মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৪২। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ২৫৪। ১৩ জন তৃতীয় লিঙ্গের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০টি ক্যুইক রেসপন্স টিম ভোটের দিন মোতায়েন রাখা হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে নাকা চেকিং। সব বুথেই থাকছে ওয়েব কাস্টিং। পাঁচটি শ্যাডো বুথ রয়েছে। ৪৪ জন মাইক্রো অবজ়ার্ভার থাকছেন। হেলেঞ্চার দেউটি বিদ্যালয়ে করা হয়েছে মডেল পোলিং স্টেশন। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় লোকজনের গতিবিধির উপর বাড়তি নজর দিয়েছে পুলিশ।
কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘আমরা প্রতিটি এলাকাকেই সমান ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে যাতে ভোটে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে মনোবল বাড়াতে রুটমার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকাভিত্তিক নজরদারি চলছে। কোথাও কোনও সমস্যার কথা কানে এলেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’
বাগদার উপ নির্বাচনে ভোটকর্মী রয়েছেন ১৪৮০ জন। মঙ্গলবার হেলেঞ্চার ডিসিআরসি থেকে ভোটকর্মীরা তাঁদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন।