অশোক মজুমদার৩রা নভেম্বর ২০০০ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু সাংবাদিক সম্মেলন করছেন আগামী মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে।৭ই নভেম্বর ২০০০ সালে প্রথমদিন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।২০০৬ ল্যান্ডস্লাইড জয়ের পর বামফ্রন্টের অপ্রতিরোধ্য ধারা পঞ্চাশ বছরেও ভাঙ্গা যাবে না…এই নিয়ে কথা হচ্ছিল শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে। কিন্তু কথা থামিয়ে স্বভাবচিত ধীর কন্ঠে সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, “আমাদের একবার হারার দরকার আছে।”
নতুন শতাব্দীর পালাবদলে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসেরও একটা বদল হয়েছিল। জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রীত্বের ব্যাটন তুলে দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে।
এগারো বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্ব শেষে প্রথম কয়েকবছর বাদ দিলে অসুস্থতা তাঁকে প্রায় গৃহবন্দীই করে দিয়েছিলো। আর আজ তাঁর প্রিয় ২৮ পাম অ্যাভেনিয়ের বাড়িটিকেও পাকাপাকিভাবে বিদায় জানালেন। এর সাথেই শেষ হলো বামফ্রন্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী হলেও ২৮ পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসভবনেই থাকবেন বলেছিলেন বুদ্ধবাবু। এই বাড়ির প্রতি তাঁর টান সর্বজনবিদিত। চব্বিশ বছরের বিধায়ক জীবন থেকে এগারো বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্ব কাটিয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই বাড়িতেই থাকলেন।
সাংবাদিক হিসাবে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে বহুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। ছবি রয়েছে অজস্র। তারই মধ্যে এই কয়েকটি যা ওনার জীবনের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট সেগুলো শেয়ার করলাম।