দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোনা পাচারকারীদের রুখে বড় সাফল্য পেল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৬.১৫ কোটি মূল্যের ১১.৬২ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি দুই পাচারকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই চোরাই সোনা নিয়ে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা।
দু’টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য এসেছে বিএসএফের। একটি পেট্রাপোলে, অন্যটি জয়ন্তীপুরে। দু’ জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ কোটি ১৫ লক্ষ ১৮ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের ১১ কেজি ৬২ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৭৪টি সোনার বিস্কুট এবং ৩টি সোনার বার। ধৃত দুই পাচারকারী ভারতেরই বাসিন্দা বলে জানিয়েছে বিএসএফ। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই চোরাই সোনা নিয়ে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা।
বিএসএফ সূত্রে খবর, সোমবার পেট্রাপোলে যানবাহন চেকিংয়ের সময় ১৭৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বাংলাদেশ (বেনাপোল) থেকে রফতানি পণ্য ছেড়ে ভারতে ফিরে আসা একটি সন্দেহজনক ট্রাককে দাঁড় করায়। শুরু হয় তল্লাশি। এরপরই ট্রাকের কেবিনের ভিতর চালকের সিটের পিছনে কী যেন একটা কালো কাপড়ে মোড়া জিনিস নজরে আসে জওয়ানদের।
কাপড় সরাতেই দেখা যায় একটি প্যাকেট। তাতে ৭০টি সোনার বিস্কুট ও তিনটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৯৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৬৫ টাকা। বিএসএফের জওয়ানরা সোনার বিস্কুট, সোনার বার এবং ট্রাকটি বাজেয়াপ্ত করে। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ মণ্ডল নামে ওই ট্রাকের চালককে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফ জানতে পেরেছে রাজের বাড়ি বনগাঁয়। তিনি ট্রাক চালান। নিয়মিত রফতানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল যান। এদিন বাংলাদেশ থেকে খালি ট্রাক নিয়ে ফেরার পথে খলিতপুরের এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই প্যাকেটটি বনগাঁ-চাকদহ সড়কের উপর একটি জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। এই বক্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে ১৫৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা এদিন জয়ন্তীপুর সীমান্তে রুটিন চেকিংয়ের সময় একটি সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল আরোহীকে তল্লাশির জন্য থামান। সেই বাইকের সিটের নিচে কালো রঙের পোশাকে মোড়ানো অবস্থায় ৪টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার ওজন ৪৬৬.৬২ গ্রাম।
মাধব মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিএসএফ জানতে পেরেছে, মাধব সোনার জিনিস চালানে যুক্ত। বেনাপোলের সাদিকপুরের এক বাসিন্দার কাছ থেকে সোনার বিস্কুটগুলি নিয়েছিলেন।
বনগাঁর পাশাপাশি বেনোপোলেও বাড়ি রয়েছে মাধবের। নিয়মিত যাতায়াতও করেন। শুল্ক দফতরের হাতে উদ্ধার হওয়া সোনা তুলে দেওয়া হয়েছে।