দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ সীমান্ত পেরিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। সোমবার সকালে একটি ব্যক্তিকে আটক করে ৮১টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, ওই পরিমাণ সোনার বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার রনঘাট সীমান্ত থেকে ওই পরিমাণ সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিএসএফের তরফে। এই নিয়ে গত চার দিনে তৃতীয় বার সোনা পাচার রুখল বিএসএফ।
সোমবার সকালে রানঘাট সীমান্তে পাহাড়ার দায়িত্বে ছিল বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। ওই এলাকাতেই টহল দিচ্ছিলেন তাঁরা। সে সময় এক পাচারকারী বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তখনই তাঁকে আটক করে বিএসএফ। তাঁর কাছ থেকে ৮১টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। আটক করা বিস্কুটের ওজন ৯ কেজি ৭৯২ গ্রাম। ওই পরিমাণ সোনার বাজার দর ৫ কোটি ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫১১ টাকা।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়া ওই ব্যক্তির নাম নাজিম মণ্ডল। ৩১ বছরের ওই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, সোমবার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে চাষের কাজে গিয়েছিল। সেখানে এক বাংলাদেশি তাঁকে সোনার বিস্কুট দিয়েছিল। যা নিয়ে তিনি তাঁর গ্রামের দিকে আসছিলেন। তখনই বিএসএফ জওয়ানরা তাঁকে ধরে ফেলেন। সোনার বিস্কুট এবং ধৃতকে বাগদা কাস্টমস বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে গত চার দিনে তিন বার সোনা পাচার রুখল বিএসএফ। এর আগে ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর সোনা পাচার রুখেছিল ভারত। প্রায় ৪০টি সোনার বিস্কুট আটক করা হয়েছিল। যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। সোমবার ঘটনা নিয়ে ৬৮ নম্বর বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ডিং অফিসার যোগেন্দ্র অগ্রবাল বলেছেন, “ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে নতুন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করে চোরাকারবারীরা।
কিন্তু আমাদের জওয়ানদের সতর্কতার কারণে তাদের পরিকল্পনা সফল হয় না।” সীমান্ত অপরাধ রুখতে বিএসএফ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ওই অফিসার। আটককৃত সোনার বিস্কুট সহ আটক ব্যক্তিকে বাগদাহ কাস্টমস বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।