দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মাঝে শুধু আড়াই বছরের ফারাক। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের সংলগ্ন দুর্গাপিতুরি লেনে একাধিক বাড়িতে আবারও ফাটল ধরেছে । বুধবার সন্ধের পর থেকে অন্তত ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দুশ্চিন্তার বিষয় হল, ২০১৯ সালের অগস্টে যে বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছিল, এ বারও সেই বাড়িগুলিতেই ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ।
মেঝে থেকে সিলিং অবধি ফাটল ধরে গেছে। তা বেড়েও চলেছে ক্রমশ । এই বুঝি হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে আস্ত বাড়িটা! ভয়ে, আতঙ্কে বুধবার মাঝরাত থেকেই ঘরছাড়া বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের বাসিন্দারা।
শুধু বাড়ি নয়, রাস্তাতেও ফাটল দেখা গেছে। ব্যাগ গুছিয়ে একের পর এক বাড়ি ছাড়তে দেখা গেছে বাসিন্দাদের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। মেট্রোের কর্তারাও এলাকায় এসেছিলেন বলে জানা গেছে। তবে কী কারণে ফাটল ধরতে পারে সে ব্যাপারে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মাঝ রাতে এলাকার বহু বাসিন্দাকেই দেখা যায় ব্যাগে দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে পথে নামতে। অনেকেই হোটেলে আশ্রয় নেন।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, দুর্গা পিতুরি লেন এলাকাটিকে পুলিশ ঘিরে রেখেছ। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। পাশে যে খানে মেট্রো রেলের কাজ চলছিল, সেটিও বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেট্রোর কাজ চলাকালীন এ দিন কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। শুধু বাড়িই নয়, রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে। ফলে আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয়দের অনেকেই।
২০১৯-এ মেট্রো কাজ চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত হয় কমপক্ষে ৪০ বাড়ি। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক ছিল যে, বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ফেলতে হয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী ঠিকানায় চলে হয়েছিল বাসিন্দাদের। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।
কী কারণে বাড়িগুলিতে ফের ফাটল ধরল সে নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। ২০১৯-এর ঘটনার পর মেট্রোর সুড়ঙ্গে ২৪ ঘণ্টা ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
যাতে সুড়ঙ্গের নীচে কোনও বিপর্যয় দেখা দিলে তা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এখন সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মেট্রোর সুড়ঙ্গে কোনও সমস্যা না হলে এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। সুড়ঙ্গ থেকে বোরিং মেশিন বের করার জন্য ফাটল ধরল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।