দেশের সময় ওয়েব ডেস্ক : গত কোভিড আবহে বন্ধ ছিল বইমেলা। এবার আর আক্ষেপ করতে হবে না বইপ্রেমীদের। সোমবার শুরু হয়ে গেল বইমেলা।
কলকাতার সেন্ট্রাল পার্ক প্রাঙ্গনে। উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই ঘোষণা করে দিলেন আর এক সুখবর। আগামী বছর থেকে কলকাতায় হবে সঙ্গীত মেলাও। এদিন মেলা প্রাঙ্গনে এসে তিনি ঘুরে দেখলেন বিভিন্ন স্টল। স্টলে দাঁড়িয়ে দেখলেন ছবি। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালেন। বইমেলার উদ্বোধনের পরেই মমতা একযোগে স্মরণ করলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুরকার বাপি লাহিড়ী, সুরজিৎ সেনগুপ্তকে, যাঁদের আমরা হারিয়েছিল সদ্য।
এর পর তিনি উদ্বোধন করেন শাসকদলের মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’–র স্টল। রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশের স্টলও ঘুরে দেখেন। এবারের বইমেলার থিম বাংলাদেশ। গত বছরও এটাই ছিল কলকাতা বইমেলার থিম। কিন্তু তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার সেই বাংলাদেশকেই থিম করা হয়েছে। মেলার উদ্বোধনে এসে ভারত–বাংলাদেশ মৈত্রীর কথাই শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘বাংলাদেশ আর বাংলা একই ভাষায় কথা বলতে পারা এক ভৌগোলিক অঞ্চল, যা আন্তরিকতা ও আশীর্বাদে ভরা।
এদিন মিলন মেলা প্রাঙ্গনের নাম পরিবর্তনের কথাও বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আপনাদের যেহেতু পছন্দ সেন্ট্রাল পার্ক। তাই এই মেলা মাঠের নাম দেওয়া হোক বইমেলা প্রাঙ্গণ। এটা একটা ডেস্টিনেশন হয়ে থাকবে। এখানে সব মেলাই করতে পারবেন।
ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ড যেহেতু তাই এটি সংযুক্ত হবে।’ তিনি এও জানিয়ে দিলেন, আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে মিলন মেলা প্রাঙ্গন। সেটা আন্তর্জাতিক মানের মেলা প্রাঙ্গন হবে। মিটিং, মিছিল করা যাবে সেখানে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়একথাও বললেন, যে আন্তর্জাতির চলচ্চিত্র উৎসবের মতো আগামী বছর থেকে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত উৎসব হবে।
বইমেলায় রয়েছে রাশিয়ার স্টল। সেই নিয়ে সাবধানতার সুরেই কথা বললেন মমতা। জানালেন, তিনি বিশ্বশান্তির পক্ষে। সেই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি ধরে রাখার পক্ষপাতী তিনি। পাশাপাশি এও বলেছেন, রাশিয়ার স্টল দেখে কেউ যেন বিক্ষোভ না দেখান।