অর্পিতা বনিক, বনগাঁ:: তিনি দুঁদে রাজনীতিবিদ। তিনি বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান। সেই তিনিই কচিকাঁচাদের হাতে রং তুলি দেখে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। এক লহমায় ফিরে গেলেন ছেলেবেলার দিনগুলিতে। মনে পড়ে গেল, তিনিও রং পেন্সিলে ফুটিয়ে তুলতেন ভাবনায় মিশে থাকা গ্রাম, নদী, পাহাড়।
রবিবার বনগাঁ খেলাঘর ময়দানে ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ছিল। সেই আসরে রং তুলি হাতে নিয়ে ছবি আঁকতে বসে পড়েন পুরপ্রধান। তাঁর কথায়, ইস, আবার যদি ছেলেবেলায় ফিরে যেতে পারতাম। আবার যদি বইয়ের হাত ধরে ফিরে যেতে পারতাম ব্যঙ্গমা আর ব্যঙ্গমীর দেশে।
ঠিক এভাবেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা গ্রন্থমেলায় বই ফিরিয়ে দিল অনেকেরই শৈশব স্মৃতি। বইয়ের হাত ধরে ছোটরা যেমন ফিরল ঠাকুমা, দিদিমাদের মুখে শোনা রূপকথার গল্পে, তেমনই বড়দের মনের কোণে উঁকি দিল ছেলেবেলার দিনগুলো। স্মৃতিতে ভেসে উঠল নতুন বইয়ের গন্ধে মুখ গুঁজে বুঁদ হয়ে যাওয়া। খাওয়া ঘুম ভুলে গোগ্রাসে শেষ করা নতুন গল্পের বই।
আর এই আবেগকে বাঁচিয়ে রাখতে উস্কে দিলেন অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। বললেন, প্রদীপ জ্বালানো সহজ। নেভানো আরও সহজ। কিন্তু যে প্রদীপ জ্বালানো হল, তাকে জ্বালিয়ে রাখা শক্ত। বনগাঁ বইমেলার প্রদীপ জ্বলতে থাকুক, এটাই চাই। তবুও তো শেষ থাকে। শুরুর জন্যই ক্ষণিকের বিরতি নিতে হয়। তাই আজ বইমেলার শেষদিনে বিদায়ঘন্টার কাউন্টডাউনে মনখারাপ বনগাঁবাসীর। সীমান্ত অঞ্চলের আপামর বইপ্রেমীর। দেখুন ভিডিও
লেখক, কবি, সাহিত্যিকরা কথা দিলেন, মন ভালো করা লেখা লিখবেন তাঁরা। প্রকাশকরা আশ্বাস দিলেন, মন ভালো করা বই নিয়ে ফের ইছামতীর শহরে বই পার্বণে শামিল হবেন তাঁরা।