স্বপ্নময়, দেবারতিদের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে জনজোয়ারে ভাসল বনগাঁর গ্রন্থমেলা:

দেশের সময়: বিকেল থেকে মেলা প্রাঙ্গনে অপেক্ষা করছিলেন প্রিয়ম। কলেজে পড়েন। বাড়ি বিড়া। হাতে দু’টি  বই, ঈশ্বরের অন্তিম শ্বাস ও ডাকাত রাজা। অধীর অপেক্ষা কখন আসবেন তাঁর প্রিয় লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়। ঘড়িতে তখন সাতটা। লেখিকা মেলার মাঠে পা রাখতেই ছুটে গেলেন প্রিয়ম। আবেগে চোখে জল। কাঁপা গলায় প্রশ্ন, কেমন আছেন দিদি। আপনি অসুস্হ হওয়ার পর থেকে এক গভীর উদ্বেগে কাটিয়েছি। প্রার্থনা করছি, আজ বড় আনন্দ হচ্ছে আপনাকে সীমান্ত শহরের বইমেলায় দেখতে পেয়ে। প্রিয় পাঠকের আবেগ দেখে তখন লেখিকাও রোমাঞ্চিত। পাশেই দীপ প্রকাশনের স্টলে তখন দেবারতির বই হাতে লেখিকার সই নিতে অপেক্ষা করছেন বহু পাঠক। মঞ্চে তখন বাংলা সাহিত্যের মণিমানিক্য ছড়াচ্ছেন সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী, শিশু সাহিত্যিক মনজিৎ গায়েন, লেখক সাহিত্যিক মৃণালকান্তি দাস, কবি সুদীপ্ত মাজি। সবমিলিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় যেন নতুন ইতিহাস রচিত হল বনগাঁ খেলাঘর ময়দানে। দেবারতিকে পেয়ে আপ্লুত বনগাঁবাসী। লেখিকা কথা দিলেন তিনি বারবার আসবেন বনগাঁয়। দেশভাগের যন্ত্রণা নিয়ে বনগাঁর প্রেক্ষাপটে উপন্যাস লিখবেন। শীঘ্রই ফের আসবেন ইছামতির শহরে। বনগাঁ জাতীয় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তরফে দেবারতিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাঁর লেখা নিয়ে তথ্যচিত্র করার। সম্মতি দিয়েছেন লেখিকা। দেখুন ভিডিও

দ্য পেন ইজ মাইটিয়ার দ্যান সোর্ড’, ব্রিটিশ লেখক এডওয়ার্ড বুলওয়ার লিটনের এই উক্তিটি কতখানি খাঁটি, তা প্রমাণ করেছেন বাংলার জনপ্রিয় লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়। বইমেলার প্রাঙ্গনে তিনি পা রাখা মানেই চনমনে হয়ে ওঠেন পাঠক, পাঠিকারা। সই নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তা সে কলকাতা বইমেলা হোক কিংবা দিল্লি, হায়দরাবাদ। ছবিটা একই। বনগাঁও তাঁর ব্যতিক্রম হল না।

দ্য পেন ইজ মাইটিয়ার দ্যান সোর্ড’, ব্রিটিশ লেখক এডওয়ার্ড বুলওয়ার লিটনের এই উক্তিটি কতখানি খাঁটি, তা প্রমাণ করেছেন বাংলার জনপ্রিয় লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়। বইমেলার প্রাঙ্গনে তিনি পা রাখা মানেই চনমনে হয়ে ওঠেন পাঠক, পাঠিকারা। সই নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তা সে কলকাতা বইমেলা হোক কিংবা দিল্লি, হায়দরাবাদ। ছবিটা একই। বনগাঁও তাঁর ব্যতিক্রম হল না।

বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠের হাত ধরে এবারের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বইমেলা যেন তাঁর সোনালী দিন ফিরে পেতে চলেছে। বনগাঁর সোনালী মাঠ যা শহরবাসীর কাছে খেলাঘর মাঠ নামেও পরিচিত, সেখানেই বুধবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে জেলা বইমেলা। উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কিন্তু এই বইমেলাকে রাজ্যের সেরা বইমেলায় পরিণত করতে চেষ্টার কসুর করছেন না পুরপ্রধান।

পুরপ্রধান গোপাল শেঠের কথায়, সীমান্ত শহর বনগাঁ সাহিত্যের শহর। সংস্কৃতির শহর। এই শহরে শ্বাস নিয়েছেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শহরে বইমেলাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই আমরা। বইয়ের বিকল্প নেই। এক নতুন বিশ্বের খোঁজ দিতে পারে বই। আমাদের লক্ষ্য, বনগাঁর সোনালী মাঠে ফিরুক বইয়ের সোনালী দিন। বাংলার খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিকদের লেখায়, কথায় সম্পৃক্ত হোক বনগাঁবাসী। ইছামতীর শহরে সংস্কৃতির অঙ্গনে নতুন জোয়ার আনুক এই গ্রন্থমেলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here