দেশের সময়, বনগাঁ: স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও শিক্ষকদের হুমকি ও হেনস্থার অভিযোগ সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্বামী।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ কুমুদিনি গার্লস স্কুলের(Bongaon Kumudini Uchcha Balika Vidyalaya ) প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার বনগাঁ থানায় গণ-আবেদন পত্র জমা দিলেন। সহশিক্ষক অমিতাভ দাসের বিরুদ্ধে থানার দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। অভিযোগ, অমিতাভ দাস দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সহ-শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছেন। এই বিষয়ে স্কুল এসআই ও এআইএ-এর কাছে আগেই অভিযোগ জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
বুধবার স্কুলের শিক্ষিকারা এক যোগে প্রতিবাদ জানালে সকালে স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন ছাত্রী ও অভিভাবকদের সামনেই অভব্য আচরণ করেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে তেড়ে মারতে যান অমিতাভ দাস । দেখুন ভিডিও
বনগাঁ কুমুদিনী গার্লস স্কুলের( Bongaon Kumudini Uchcha Balika Vidyalaya ) প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষকদের অভিযোগ, অমিতাভ দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সহ শিক্ষক, শিক্ষিকাদের নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে প্রার্থনা চলাকালীন ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সামনেই সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশে তেড়ে যান অমিতাভ। এর পরেই শিক্ষক, শিক্ষিকারা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে অমিতাভের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হন।
কুমুদিনী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষিকা মলিনা শিকদারের অভিযোগ, অমিতাভ স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করান না। তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রী জনপ্রতিনিধি। সেই কারণ দেখিয়ে অমিতাভ সঠিক সময়ে স্কুলেও আসেন না। স্কুলের প্রার্থনা চলাকালীন বৃহস্পতিবার এক শিক্ষিকার উপর চড়াও হন।
উনি সব সময়ই হুমকি দিয়ে থাকেন, সুন্দরবন ট্রান্সফার করিয়ে দেবেন। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দিতে থাকেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।’’ স্কুলের এক শিক্ষিকার অভিযোগ, অমিতাভের হুমকির জেরে তাঁরা রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর আবেদন, প্রশাসন যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়।
উল্লেখ্য, অমিতাভ দাস বনগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বন্ধনা দাস কীর্তনীয়ার স্বামী।
পাল্টা কাউন্সিলরের বক্তব্য, তাঁর স্বামীকেই স্কুলে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। তাঁকে মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ। স্কুলের অপ্রীতিকর ঘটনার পর তাঁর স্বামী অসুস্থ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় বলেও দাবি কাউন্সিলরের।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ব্যবহার, আচরণ ভাল নয়। তিনি আগে যে স্কুলে ছিলেন, সেই স্কুলেও এ রকম অশান্তি করে এসেছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।