দেশের সময়, উত্তর ২৪পরগনা: প্রেম থেকে ঝটিতি সফর,সবেতেই বাঙালির প্রথম পছন্দ দিঘা। ঘরের পাশের এই সমুদ্র সৈকতে রাজ্যবাসীর এই ভালোবাসার কারণেই সারা সপ্তাহ, সারা বছরই জমজমাট।
দক্ষিণবঙ্গের যেকোনও স্থান থেকে তাই দিঘার পরিবহনের চাহিদাও বেশি। এরই মাঝে উত্তর ২৪ পরগনার মানুষদের জন্য সুখবর। পুজোর আগেই দারুণ সস্তায় চালু হল বনগাঁ মহকুমার গোপালনগর থেকে দিঘা পর্যন্ত সরকারি বাস পরিষেবা শুরু হলো সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের উদ্যোগে ৷
সোমবার গোপালনগরে পরিষেবার সূচনা করেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ৷ উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝুমা দাস , তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র বানগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নারায়ন ঘোষ ৷
পুজোর আগে দারুণ খবর সীমান্ত শহর বনগাঁ বাসীদের জন্য। বনগাঁ অর্থাৎ জেলার প্রান্তিক এলাকা থেকে এখন মাত্র ২০০ টাকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে সৈকত শহর দিঘায়। সমুদ্রের টানে ছুটি কাটাতে সারা বছরই কমবেশি ভিড় থাকে পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমুদ্র সৈকতে। তবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া প্রান্তিক এলাকার থেকে এতদিন দিঘা যেতে বেশ অনেকটাই হ্যাপা পোহাতে হত মানুষদের। হাবড়া থেকে এসে ধরতে হত বাস বা সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে ধরতে হত দিঘার বাস।
দীর্ঘদিন ধরে বনগাঁ থেকে দীঘা পর্যন্ত সরকারি বাস চালুর দাবি জানিয়েছিলেন বনগাঁর মানুষ৷
সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে সোমবার নতুন রুটের বাস রওনা দেয় দিঘার উদ্দেশ্যে ৷
বিশ্বজিত দাস বলেন , মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল বনগাঁ থেকে দীঘা যেতে ট্রেন বাস পরিবর্তন করতে হয়, অনেক সময় ও টাকা নষ্ট হয়৷ এই রুট চালু হওয়ায় খরচ কমবে, সময় বাঁচবে ৷ বনগাঁ মহকুমা তথা গোপালনগরের মানুষদের ৷
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া সরাসরি বনগাঁ দিঘা ট্রেন চালুর আর্জি জানিয়ে রেলমন্ত্রকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। ট্রেন রুট চালুর আগেই শুরু নয়া রুটে সরকারি বাস পরিষেবা।
পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে দৈনিক সকালে সাড়ে পাঁচটায় একটি করে বাস দিঘা যাবে এবং একটি করে বাস গোপালনগরে ফিরবে ৷ এই বাস বনগাঁ, হাবড়া বারাসত হয়ে চলে যাবে দীঘা ৷
বনগাঁ থেকে দীঘা পর্যন্ত বাস ভাড়া রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। হাবড়া থেকে দীঘা পর্যন্ত বাড়ানো হলো এতদিন এখান থেকে দিঘা যাওয়ার সরাসরি বাস পরিষেবা ছিল না ৷ এক সময় চালু হওয়ার পরেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ এবার এই নতুন রূপ পেয়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারা ৷
এই বাসে জেলা সদর শহর থেকে শুরু করে, রুটের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে পারবেন সীমান্ত এলাকার মানুষজন। তাই হাতে দু-একদিনের সময় পেলেই সমুদ্র সৈকতের আনন্দ উপভোগ করতে আর কোন ঝক্কি পোহাতে হবে না সীমান্ত এলাকার মানুষদের। সূচনার পর, এদিনই প্রথম যাত্রী নিয়ে দিঘার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বাসটি।