দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বোলপুরে আবারও সিবিআই হানা। একাধিক জায়গায় সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছে। একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারীরা যাচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। পাশাপাশি তাঁর অনুগামী ব্যবসায়ী সুদীপ রয়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর বোলপুরের একাধিক রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার ভোরে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রামে ঢোকে সিবিআই। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গ্রামের একাধিক বাড়িতে যাচ্ছেন তাঁরা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে গ্রামের তিন-চার জনের বাড়িতেও। খবরটি অত্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিশ্বজ্যোতি নামে ওই কাউন্সিলর অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ।
অনেকটাই অনুব্রতর কাজের দেখাশোনা করতেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতেই থাকতেন দিনের বেশিরভাগ সময়। এবারও তিনি ওই ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর কাছ থেকেই গরু পাচার সংক্রান্ত মামলার একাধিক তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পাশাপাশি এই মামলার অন্যতম সংযোগকারী তথা লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করার অভিযোগে দোলন কুমার দে নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। তিনিও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।
গতকাল আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল এবং সায়গল হোসেনকে জেরা করেছিল সিবিআই। তারপর এদিন সকালেই এই হানা এবং তল্লাশি দেখে অনেকেই মনে করছেন, নতুন তথ্যের ভিত্তিতেই তল্লাশি অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার বোলপুরের উত্তরনারায়ণপুর এলাকায় ৩ জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। , ধৃত নেতাদের নাম পঞ্চানন খাঁ, বাদল শর্মা আর তীর্থনাথ মাহারা। আব্দুল করিম খান বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামন শেখ কঙ্কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং পঞ্চানন খাঁ ওহিউদ্দিনের সঙ্গী ৷ এই তিন জনের গ্রেফতারির বিষয়টিও আচমকা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এদিন আবার কোনও গ্রেফতারি হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা জোরাল হয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর বেশ কয়েকটি রাইসমিলে তল্লাশি চলে. সে সময়েও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাঁদের বয়ানেও বেশ কিছু অসঙ্গতি ছিল। তাঁদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতর একাধিক সম্পত্তি দেখভাল করতেন। ভোলে ব্যোম ও শিবশম্ভু রাইস মিলেও নিয়মিত যাতায়াত ছিল এই কাউন্সিলরের। তাছাড়া এই কাউন্সিলরের সম্পত্তিও অস্বাভাবিক গতিতে গত কয়েক বছরে বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দোলন কুমার দে-র ব্যাপারে জানা গিয়েছে, টাকা লেনদেনে সায়গলের অন্যতম আস্থাভাজন ছিলেন এই ব্যক্তি। এখন দেখার এঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে। এদিন আর কোথাও হানা দেয় কিনা কেন্দ্রীয় এজেন্সির টিম।
এই তল্লাশি অনুব্রত-ইস্যুতেই হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।