দেশের সময় কল্যাণী : কলস’আপনি তো পাঁচ বছর আগে এসেছিলেন। আপনাকে আমরা ভরসা করেছিলাম, কিন্তু কাজটা হল না কেন?’ বিজেপি প্রার্থীকে প্রশ্ন এক জনসাধারণের। প্রচারে গিয়ে জনগণের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।
গঙ্গা ভাঙন রোধে বিজেপি সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় অন্তিম পর্যায়ের ভোট প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বৃহস্পতিবার কল্যাণী ব্লকের চাদুরিয়া এলাকায় প্রচারে যান তিনি। ওই অঞ্চলে গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন এতদিন কাজ হল না? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সেখানকার গঙ্গা তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষের দাবি, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে বিজেপি সাংসদকে কখনও দেখা যায়নি। ভোট আসতেই আবার আগমণ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গঙ্গা ভাঙনে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেলেও বাস্তবে সান্যাল চর এলাকায় পড়েনি ন্যূনতম এক বস্তা বালিও, দাবি গ্রামবাসীদের। এখানকার মানুষ দীঘদিন ধরেই গঙ্গা ভাঙনের সমস্যায় জর্জরিত। ভাঙন রোধে বিগত কয়েক বছরে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেই কারণেই, এদিন বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদকে সামনে প্রতিবাদ পেয়ে দেখান তাঁরা, বলে মত গ্রামবাসীদের।
যদিও এ প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর জানান, তিনি ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন গঙ্গা পারের মানুষজনের জন্য। বিভিন্ন এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে এখানে যদি কাজ না হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। তবে কাজের দায়িত্ব সম্পূর্ণ তাঁর হাতে নয়।
শান্তনুর দাবি, এ রাজ্যের সরকার সহযোগিতা করলে এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন তিনি। তবে তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ মঞ্জুর হলেও সব জায়গায় সমান তৎপর নয় রাজ্য প্রশাসন বলে দাবি করেন তিনি। যদিও তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ বিক্ষোভ জানানোর পরিস্থিতি কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাল দিয়ে নেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং সেখান থেকে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করেন বিজেপি প্রার্থী।
উল্লেখ্য, আগামী ২০ মে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে এবারেও গতবারের জয়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুররের উপরেই ভরসা রেখেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, এবার এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করছেন বিশ্বজিৎ দাস।