দেশের সময় : উত্তর২৪ পরগনার হাবড়ায় বিজেপির চোর ধরো জেলে ভরো কর্মসূচির মহা মিছিলে যোগ দিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে একহাত নেন সুকান্ত। সেখানে জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে আমার কাছে অনেক তথ্য আছে। প্রয়োজনে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব। জনগণকে আমি তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য দিতে বলেছি। মানুষের থেকে সেই তথ্য নিয়ে আমি সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছে দেব।”
আগামী ১৩ তারিখ বিজেপির নবান্ন অভিযান। আর তার আগে বিজেপি নেতৃত্বের আর তাঁরই সমর্থনে এক মহা মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানায়। হাবড়ার দেশবন্ধু পার্ক থেকে জয়গাছি সুপারমার্কেট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পদযাত্রা করে বিজেপি। এদিনের মিছিলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত করেছিলেন।
তবে শুধুমাত্র জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নয়। তৃণমূল সরকারকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত। ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি বাগুইআটির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেন, “রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কী ভয়ংকর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে তার প্রমাণ পেলাম আমরা।
পরিবার পুলিশের কাছে গিয়েছিল। কিন্তু, তাও পুলিশের তরফে তাঁদের কোনও সাহায্য করা হয়নি।” এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উচিত পদত্যাগ করা। তাঁর সিংহাসন ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাঁকে জনগণের কাছে আবার যেতে হবে। কারণ যিনি নিজেই স্বীকার করেন যে আমরা চুরি করেছি, তাঁর সিংহাসনে বসে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।”
প্রসঙ্গত, এসএসসি , টেট থেকে শুরু করে কয়লা পাচার ও গোরুপাচার কাণ্ডে সাম্প্রতিককালে সিবিআই ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এদিকে এনিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। এরপর কয়েকদিন আগে আবারও বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । তাঁর দাবি ছিল, “ইডি, সিবিআই বা ইনকাম ট্যাক্স ডাকে ডাকুক, যদি আমাকে যেতে হয়, তবে বিজেপি নেতাদেরও নিয়ে যাব।” আর এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।