দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরই অশান্তি শুরু ভাটপাড়ায়। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স ছিড়ে ফেলার অভিযোগ। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে ভেঙে ফেলা হয় চেয়ার টেবিলও। তবে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা যায়নি। ঘটনার পরই ভাটপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি।
পুর নির্বাচনে অর্জুন গড় ভাটপাড়া বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ । এই একালায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর দাপট থাকলেও নির্বাচনের ফলে সেই প্রভাব মিলল না। ভাটপাড়া পুরসভা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলবদল করেছিলেন অর্জুন সিং। কিন্তু এলাকায় বজায় ছিল তাঁর ক্যারিশ্মা। ওই এলাকা কার্যত অর্জুন গড় হিসাবেই পরিচিত ছিল। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন তিনি। তবে অর্জুন গেরুয়া শিবিরে আসার পর থেকেই ওই অঞ্চলে শাসক- বিরোধী সংঘাত বাড়ে আরও।
পুরভোটের দিন দেখা যায়, ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে হাউ হাউ করে কাঁদছেন বিজেপি প্রার্থী। ভোটের ফল প্রকাশ হতে দেখা গেল, ভাটপাড়ায় খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি। ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪ টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল জয়ী। আর একটি ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট হয়নি।
এরই মধ্যে রাতেই ভাটপাড়ায় অশান্তি। শাসকদলের দলীয় কার্যালয়েই ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, রাতে দলীয় কার্যালয়েই বসে ছিলেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী মুখে মাস্ক পরে এসে হামলা চালায়। তারা প্রত্যেকেই মুখে মাস্ক পরে এসেছিল।
দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করতে থাকে তারা। দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স ছিড়ে ফেলা হয়। প্রতিরোধ গড়ে তুললে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর ওপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ। পরে তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ৷
এই ঘটনার পিছনে কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদৌ তৃণমূলেরই গোষ্ঠীকোন্দল নাকি এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ভাটপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে দুষ্কৃতীদের শণাক্ত করতে পারেননি তৃণমূল কর্মীরা। ফলে নির্দিষ্ট করে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।