দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ এদিন সকালে গণনার শুরু থেকেই বড় ব্যবধানে ভবানীপুরে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি প্রার্থীদের কাউকেও ধারেকাছে দেখা যাচ্ছিল না। বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও ছিলেন অনেক পিছিয়ে। শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশামতোই জিতলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুধু তাই নয়, রেকর্ড মার্জিনে জয় পেলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে তাঁকে জিততেই হবে। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে অবশ্য কোনও সংশয় নেই তৃণমূল শিবিরের। চিন্তা ছিল শুধু ব্যবধানের অঙ্ক নিয়ে। উপনির্বাচনী প্রচারপর্বে মমতা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের বক্তব্যেই ফিরে ফিরে এসেছে এই ব্যবধানের প্রসঙ্গ। উপনির্বাচনে কম মানুষ ভোট দিতে আসেন, এটা জেনেই তৃণমূল এ বার জোর দিয়েছিল ‘ভোট দিতে আসুন’ ডাকে। বৃহস্পতিবার ভোটদানের ভাল হার সে দিক থেকে আগেই খানিকটা আশ্বস্ত করেছিল রাজ্যের শাসকদলকে।
উপনির্বাচন হলেও ভবানীপুরের ভোটের আলাদা তাৎপর্য ছিল এবার। কারণ এই ভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বের ভাগ্য। নন্দীগ্রাম থেকে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিপরীতে হেরে গিয়েছিলেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে টিকে থাকার জন্য কোনও কেন্দ্র থেকে জেতা দরকার ছিল। ভবানীপুর বরাবরের মতো মমতাকে ফেরাল না। এই কেন্দ্রে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন তিনি।