দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের রাজ্যের করোনা সংক্রমণে বড় লাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও সংক্রমণ ২০ হাজার পার করে গেল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ১৯ হাজারের আশপাশে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৬৫। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৪ হাজার ১৬ জন। আরও তিন জেলায় হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম বর্ধমানে একদিনে সংক্রমিত যথাক্রমে ১,৮১৫, ১,৪৩৫ এবং ১,১০৯ জন। ফলে রাজ্যে মোট সংক্রমণ বেড়ে হল ১৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৩০।
একদিনে রাজ্যে ৬৫ হাজার ২১০টি নমুনা পরীক্ষা হলেও কমেছে পজিটিভিটি রেট। সংক্রমণের হার ৩৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩২.৩৫ শতাংশ। কলকাতায় সংক্রমণের হার ৪৫.১০ শতাংশ। এরপরেই স্থান হাওড়ার। সংক্রমণের হার ৪২.২৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৮ হাজার ৩৭ জন। সুস্থতার হার ৯৩.২০ শতাংশ। একদিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫২১০টি। পজিটিভিটি রেট ৩২.৩৫ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নদিয়ায় সংক্রমণের বলি হয়েছেন ২ জন। হাওড়ায় মৃতের সংখ্যা ৩, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও ৩ জন করোনার বলি হয়েছেন।
রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৩৬ জন। তবে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ীও হচ্ছেন বহু মানুষ। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮,০৩৭ জন।এই সংখ্যাটা সোমবারের চেয়ে বেশকিছুটা কম। এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত বাংলার ১৬,৭৩,২৫৮ জন। সুস্থতার হার ৯৩.২০ শতাংশ।
এরইমধ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনও কসুর ছাড়ছে না রাজ্য সরকার। তৃতীয় ঢেউয়ের আভাস পেয়েই ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি ও বেসরকারি অফিসে জোর দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দিকে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ট্রেনের সময় ও যাত্রী সংখ্যাও। পর্যটনকেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। শপিং মল, রেস্তরাঁর ক্ষেত্রে জারি হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা।
এছাড়াও খাস কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাগে আসছে না করোনাভাইরাস ৷ এই পরিস্তিতিতে প্রয়োজনে রাজ্য সরকার আরও কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে পারে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক ক্ষেত্রে জারি হতে পারে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা।