বেলুড় : চিরাচরিত রীতি মেনে বেলুড়ে হয়েগেল কুমারী পুজো। এই পুজোর সূচনা হয়েছিল স্বামী বিবেকানন্দের হাত ধরে। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলছে। ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে বেলুড় মঠে শুরু অষ্টমী পুজো। প্রথমে পুষ্পাঞ্জলি। দেখুন ভিডিও
দেবীকে মৃন্ময়ী রূপে আরাধনার পাশাপাশি কুমারীর মধ্যে মাতৃরূপ দর্শন, এই প্রথা মেনেই প্রতিবারের মতো এবারও বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
৫-৭ বছর বয়সীদের নির্বাচন করা হয় কুমারী পুজোর জন্য। ১৯০১ সালে সারদা মায়ের উপস্থিতিতে ৯ জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেই থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। কুমারী পুজো দেখতে সকাল থেকেই বেলুড় মঠে রয়েছে ভিড় করেছেন ভক্তরা। এরপর বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে বেলুড় মঠে সন্ধিপুজো শুরু হয় সকাল ১১টা ৪৩-এ । পুজো চলে ১২টা ৩১ পর্যন্ত।
এক এক বয়সের কুমারীকে এক এক নামে পুজো করা হয়। ১ বছর বয়স হলে নাম সন্ধ্যা । ২ বছরের কুমারী নাম সরস্বতী। কুমারীর বয়স ৩ বছর হলে নাম হয় ত্রিধা। ৪ বছরের কন্যাকে কালিকা নামে পুজো করা হয়। ৫ বছর হলে , তার নাম সুভাগা। ৬ বয়স হলে উমা নামে পুজো হয় কুমারীর। ৭ বছর বয়স হলে নাম হয় মালিনী।
৮ বছরের মেয়ে কুমারী হলে নাম হয় কুব্জিকা । ৯ বছরের কুমারী কালসন্দর্ভা নামে পূজিতা। ১০ বছরের কুমারীর নাম হয় অপরাজিতা । ১১ বছরের কন্যা রুদ্রাণী, ১২ বছর বয়সী কুমারী ভৈরবী, ১৩ বছরের কন্যা মহালক্ষী নামে পূজিতা হন।
১১ অক্টোবর পুজো শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ৫ টায়। এরপর কুমারী পুজো শুরু হয়েছে সকাল ৯ টায়। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে হয় সন্ধি পুজো । সকাল ১১ টা ৪৩ থেকে থেকে দুপুর ১২ টা ৩১ পর্যন্ত হবে কুমারী পুজো। শনিবার ১২ অক্টোবর মহানবমী। এদিন পুজো শুরু হবে সকাল সাড়ে ৫ টায়।
মহানবমীর হোম শুরু হবে সকাল ৯ টা ৪৫ এ। ১৩ অক্টোবর রবিবার দশমী । পুজো শুরু হবে সকাল সাড়ে ৬ টায়। বিসর্জন সন্ধে ৬ টা ৪৫ এ। প্রতিদিনই সন্ধ্যার আরতি হবে ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের আরতির পর , সন্ধেয়।