Bangladesh Protest অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ,ব্যাহত সীমান্ত বাণিজ্য, দেখুন ভিডিও

0
146

পার্থ সারথি নন্দী , পেট্রাপোল : সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। হিংসার আগুনে জ্বলছে পদ্মাপাড়ের দেশ।

বাংলাদেশে অশান্তির আঁচ পড়েছে বৈদেশিক বাণিজ্যেও।পেট্রাপোল সীমান্ত বাণিজ্য সহ পরিবহণ ব্যবস্থাতেও এবার এর প্রভাব পড়ল। শনিবার থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বন্ধ হয়ে গেল রপ্তানি বাণিজ্য। এই মুহূর্তে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্রায় হাজার খানেক পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় এক্সপোর্টাররা। দেখুন ভিডিও

সীমান্তের আমদানি-রফতানি কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, একদিন ট্রাক দাঁড়িয়ে যাওয়া মানে গাড়ি পিছু দেড় থেকে দু’হাজার টাকা ডিটেনশন চার্জ গুনতে হয়। তার উপর পচনশীল পণ্য থাকলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে বাড়তে থাকে ক্ষতির বহর। এমনিতেই বাংলাদেশে উত্তাল পরিস্থিতির জেরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পেমেন্ট আটকে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে অস্থির পরিস্থিতি।

ল্যান্ড পোর্ট অব ইন্ডিয়ার পেট্রাপোলের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি শনিবার বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক এলেও এদিন সকাল থেকে কোনও ট্রাক ওপারে যাইনি। সেই অর্থে পেট্রাপোলে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ বলা চলে। এই মুহূর্তে পেট্রাপোলে প্রায় আটশো পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’’

বনগাঁর ছয়ঘরিয়ার বাসিন্দা, এক্সপোর্টার পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, যে দেশের সঙ্গে ব্যবসা করব, সেই দেশে যদি আগুন জ্বলে, তাহলে তো মোটেই সুষ্ঠুভবে ব্যবসা হতে পারে না। আরও অনেক রফতানিকারকের মতো পেট্রাপোল সীমান্তে পরিতোষেরও পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। মাছের খাবার রপ্তানি করছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, কতদিনে সেই পণ্য ওপারে পাঠাতে পারবেন, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে তিনি। বললেন, বাংলাদেশে চারদিকে হিংসার আগুন জ্বলছে। এপার থেকে ট্রাক চালকরাও পণ্য নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন। কখন যে কী হয়, সবসময় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। যে ভাবে বাংলাদেশে গোলমাল হচ্ছে, তাতে সম্পূর্ণভাবে আমদানি-রফতানি বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাণিজ্য বন্ধ হলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হবে দু’দিকেই ব্যবসায়ীদের।’’তবে, বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে সীমান্ত বাণিজ্যে অর্থনৈতিক ভাবে বড়সড় ধাক্কা খাবে।

পেট্রাপোল দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর। এখান থেকেই স্থলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে বেশির ভাগ বাণিজ্য চলে।পণ্য রফতানি – আমদানি কাজে যুক্ত সংগঠন ‘পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ারঅ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন,বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ফলে এই মুহূর্তে ওপারে পণ্যবাহী ট্রাক পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমরাও চালকদের ট্রাক নিয়ে ওপারে যেতে বারণ করছি। আমার উপর রফতানিকারকদের চাপ আসছে। কিন্তু কিছু করার নেই। কার্তিক বলেন, পেট্রাপোলে প্রচুর ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। এরমধ্যে অন্তত ৩৫টি ট্রাকে পচনশীল পণ্য রয়েছে। রফতানি বন্ধ থাকলে সেসব নষ্ট হয়ে যাবে। প্রচুর টাকা লোকসান হবে। বৃহস্পতিবার পণ্য রফতানি হয়েছে ৩৩৯ ট্রাকে। আমদানি হয়েছে ২২৯ ট্রাকে। ওপার বাংলায় অশান্তির কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে রাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য যাচ্ছে এখন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে বাণিজ্যে আরও প্রভাব পড়বে।

অন্যদিকে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে কলকাতা পর্যন্ত বেসরকারি বাস পরিষেবা আছে। মূলত বাংলাদেশিরাই এই সব বাসে যাতায়াত করেন। বাংলাদেশ থেকে লোকজনের আসা কমে যাওয়ায় বাসগুলির বেশিরভাগই সীমান্তে দাঁড়িয়ে ছিল শনিবার। যদিও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করা সরকারি একটি বাস এ দিন সকালে বাংলাদেশে গিয়েছে বলে পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।

এদিকে, কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে এবং ভিনরাজ্যে রয়েছেন বহু বাংলাদেশি। কেউ এসেছেন চিকিৎসা করাতে কেউ বা ঘুরতে, আত্মীয়ের বাড়িতে। কিন্তু দেশ জ্বলছে। ফলে মন ভাল নেই তাঁদের। কলকাতার নিউ মার্কেট লাগোয়া মার্কুইস স্ট্রিটে পা রাখলেই দেখা মেলে বাংলাদেশিদের। এই জায়গাটা তাঁদের বেশ পছন্দের। এখানে তাঁদের থাকা-খাওয়ার সুযোগ মেলে সহজেই। সেখানেই দেখা গেল বাংলাদেশিদের চোখে-মুখে উদ্বেগের ছাপ। ওঁদেরই কেউ বললেন, দেশ-ঘরের কী অবস্থা কে জানে? এদেশে আর মন বসছে না। বাড়ি ফিরতে চাইছি। কিন্তু কীভাবে ফিরব? ট্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাসে চেপে না হয় পেট্রাপোল পর্যন্ত গেলাম। কিন্তু ওপারে গিয়ে যদি আর কোনও যানবাহন না পাই! এই আশঙ্কা থেকেই ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসা বাংলাদেশিদের অনেকেই এখন দেশে ফিরতে চাইছেন না। বলছেন, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না। এখানে মন না বসলেও কলকাতাতেই আরও কয়েকটা দিন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শান্তি ফেরার কোনও লক্ষণ নেই। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। হিংসার আগুনে জ্বলছে পদ্মাপাড়ের দেশ। বাড়ছে মৃত্যু। ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা একশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। বেসরকারি হিসেবে, তা আরও বেশি। শুধুমাত্র ঢাকাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় চল্লিশ জনের। নিহত পুলিশ কর্মীও। মৃত্যু হয়েছে সাংবাদিকেরও। আহতের সংখ্যা সহস্রাধিক। স্কুল-কলেজে তালা। বন্ধ ট্রেন চলাচল। শনিবার বাতিল করা হয়েছে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস। রবিবার আপ ও ডাউন রুটে বাতিল থাকবে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস।

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ১৫ হাজারের বেশি ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৫০০। অশান্ত পরিস্থিতিতে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে নয়াদিল্লির। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে ভারতীয় পড়ুয়ারা আটকে পড়েছেন, তাঁদের ফেরানো হচ্ছে।’’মেঘালয় সীমান্ত পেরিয়ে ফিরলেন ৪০০ পড়ুয়াছবি ~ এক্স

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে বাংলাদেশে আর কোনও ট্রেনের চাকা গড়ায়নি। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ঢাকায় মেট্রো রেলের পরিষেবাও। একরাশ উদ্বেগ আর আশঙ্কা নিয়ে ফিরে আসছেন বাংলাদেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা। রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট যেন রণক্ষেত্র।

আন্দোলনকারীরা হামলা চালিয়েছে নরসিংদী জেলা কারাগারে। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে কয়েকশো বন্দি। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নাক গলাতে চাইছে না ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

শুক্রবার রাত থেকে গোটা বাংলাদেশে জারি করা হয়েছে কার্ফু। বিক্ষোভ সামাল দিতে নামানো হয়েছে সেনা।  

সরকারি সূত্রের খবর, বাংলাদেশে প্রায় পনেরো হাজার ভারতীয় রয়েছেন। তার মধ্যে পড়ুয়া আট হাজার। তারা অবশ্য ফিরে আসতে শুরু করেছেন। হিংসা কবলিত বাংলাদেশ ছেড়ে ইতিমধ্যেই মেঘালয়ে ফিরেছেন ২০২ জন ভারতীয়, ১০১ জন নেপালি এবং ৭ ভুটানি। অসমের বহু বাসিন্দাও বাংলাদেশে রয়েছেন। তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে অসম সরকার।

ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে খোলা হয়েছে হেল্প লাইন। ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ভারতীয় সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় ছাত্ররা যেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘোরাঘুরি না করে। কোনও জরুরি প্রয়োজন হলে তারা যেন যোগাযোগ করে হাইকমিশনের সঙ্গে।

গেদে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন ২৪৫ জন। কোচবিহারে মেখলিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের বেশকিছু ছাত্রছাত্রী।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরা ও মেঘালয় দিয়ে শুক্রবার তিনশোর বেশি পড়ুয়া ভারতে ফিরেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা আর বাংলাদেশে ফিরবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মেঘালয় দিয়ে যাঁরা দেশে ফিরেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মেঘালয়, জম্মু ও কাশ্মীরের। 

দেশে ফেরার জন্য মূলত দু’টি রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন তারা। একদল ফিরেছেন ত্রিপুরার আগরতলার কাছে আখুরা স্থলবন্দর দিয়ে। অন্যদল ফিরেছেন মেঘালয়ের দাওকী স্থলবন্দর দিয়ে।  

গুজব ছড়ানো ঠেকাতে গোটা বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু তারপরও রাশ টানা যাচ্ছে না অশান্তিতে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ। দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল হচ্ছে ঢাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর সহ বাংলাদেশের রাজধানীতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ। এদিকে, দেশে এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই হ্যাক হয়েছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ও পুলিশের ওয়েবসাইট।

সবমিলিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। ঢাকা সহ দেশের ৪৭টি জেলায় দিনভর চলছে অবরোধ, বিক্ষোভ, পুলিশের উপর হামলা। আন্দোলন থামাতে পুলিশও পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে। কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, গুলির শব্দে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সমস্যা মোকাবিলায় আলোচনার সব ধরনের পথ খুলে রাখার জন্য হাসিনা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেস। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিক বিভাগের প্রধান ভলকার টার্ক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্রদের উপর হামলা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের হামলাকে তিনি বিস্ময়কর বলেও উল্লেখ করেছেন।

এদিকে, বাংলাদেশে হিংসা ছড়ানোর পিছনে কি মৌলবাদী ও পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাত রয়েছে? এমনই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব তথা বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে পড়ুয়া যে দাবি তুলছেন, তা নিয়ে হাসিনা সরকার অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। পড়ুয়াদের দাবি পূরণ করার বার্তা দিচ্ছে। তার প্রভাবও পড়ছে পড়ুয়াদের আন্দোলনে। কিন্তু পড়ুয়াদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তার ফায়দা তুলে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে কয়েকটি সংগঠন।

শ্রিংলা বলেন, বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানতে পারছি, এ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে নানা মহল। জামাত-ই-ইসলামির অংশ ছাত্র শিবিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন ঢুকে পড়েছে। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে বিরোধী দল বিএনপি। ফলে বিক্ষোভে মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজনীতি। শ্রিংলার আশঙ্কা, আইএসআইয়ের মতো বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য বিপজ্জনক গোষ্ঠীও হিংসা ছড়ানোর পিছনে মদত জোগাতে পারে। এটা বাংলাদেশ সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। তবে কিছু গোষ্ঠী যে পরিস্থিতির ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।

চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র নেতৃত্ব সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে সমস্যা সমাধানের যাবতীয় ভার এখন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের উপর। হাই কোর্ট সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেওয়ার পর সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, সেই মামলার শুনানির সময় আদালতে বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারে হাসিনা সরকার। সেই প্রস্তাবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ কোটা কমানোর কথা থাকতে পারে। 

Previous articleBangladesh Protest দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করলেন হাসিনার সরকার, নামছে সেনা,বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রেন চলাচল বন্ধ
Next articleFlames of violence curb Bangladesh; export business gets hampered:watch the video

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here