দেশের সময়, বনগাঁ: শহরে উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের জন্য ৩২৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন হল মঙ্গলবার। প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিশ্ব বাংলা ক্লক টাওয়ার, বীণাপানি সেতু, ভূপেন্দ্রনাথ স্মৃতি কর্মতীর্থ, ওল্ড ট্রি মডেল, গায়ত্রী ওয়াটার সাপ্লাই, ঢালাই রাস্তা, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মূর্তি, গ্যালারি, তরুণ সর্দার ডাম্পিং গ্রাউন্ড, অগ্নিকন্যা বিনোদন পার্ক -সহ আরও অনেক কিছু।
পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠর কথায়, ‘‘ মঙ্গলবার পুলিশ-প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাদের উপস্থিতিতে আমরা এক সঙ্গে ৩২৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছি। খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকারও বেশি। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের সঠিক ব্যবহার করে প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করা হয়েছে। শহরের বেশ কিছু মাঠেরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এছাড়াও এদিন শহরের কয়েক হাজার পরিবারের হাতে কয়েক হাজার ইনডাকশন আভেন বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আমরা ইনডাকশন আভেন দিয়েছি। এর ফলে মানুষের রান্নার খরচ অনেক কমবে বলে জানান পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ।
এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা৷ বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘ঢপবাজির জায়গা পায় না তৃণমূল। ৩২৭টি প্রকল্প সংখ্যায় ক’টা হয়, ওঁরা হয় তো গুণতে ভুলে গিয়েছেন। চোখের সামনে তো দু’তিনটি দেখতে পাচ্ছি। ইনডাকশন আভেন দিয়েছেন, কিন্তু বিদ্যুতের বিল কে দেবেন? সামনেই পুরভোট। তার দিনক্ষণও ঘোষণা হবে শীঘ্রই। তার আগে তড়িঘড়ি এতগুলি প্রকল্পের উদ্বোধন করে তৃণমূল আসলে ভোটের রাজনীতি করছে ৷ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি বলেও তারা দাবি করেন৷
বিরোধীদের দাবি, ক্লক টাওয়ার তৈরির ফলে রাস্তায় যানজট আরও বাড়বে।সিপিএম নেতা পীযূষকান্তি সাহা বলেন, ‘‘মানুষের দেওয়া প্রচুর সরকারি টাকা খরচ করে প্রকল্প উদ্বোধনের নামে অপচয় করা হল। ঢালাই রাস্তার এভাবে উদ্বোধন করার কোন মানেনেই , ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠান করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এইসমস্ত প্রকল্পে খরচের হিসাব দেওয়া প্রযোজন৷ করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ চাল কিনতে পারছেন না। অথচ চাল ফোটানোর ইনডাকশন আভেন দেওয়া হচ্ছে। গোটাটাই পুর ভোটের দিকে তাকিয়ে এই আয়োজন।
বিরোধীদের সমালোচনা প্রসঙ্গে গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘ওঁরা সামাজিক কাজে, উন্নয়নের কাজে থাকেন না। মানুষ ওঁদের অনেক আগেই বর্জন করেছেন।