দেশের সময়,বাগদা: আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সংসদে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসাদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতর।
অঙ্গনওয়াড়ি ও আশাকর্মীরা সার্ভে করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। বিক্ষোভ,পথ অবরোধ সবই হয়েছে। এরইমধ্যে আবাস যোজনার সার্ভে করতে শুক্রবার যা হল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ বাগদা থানার ওসির।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য সরকার সাম্প্রতিক নির্দেশ দিয়েছে তালিকা খতিয়ে দেখতে। সেই কাজই চলছে রাজ্যের নানা প্রান্তে।
সূত্রের খবর, সরকারি নির্দেশ মেনে এদিন তালিকা নিয়ে সার্ভে করতে বেরিয়ে ছিলেন বাগদা থানার ওসি উৎপল সাহা। দুপুরে হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পারকৃষ্ণচন্দ্রপুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছিলেন তিনি। দু-একটি বাড়ি পরিদর্শন করার পর ওই এলাকার বাসিন্দা বুলু কীর্তনিয়ার বাড়িতে পৌঁছন। সেখানে উপস্থিত হতেই তাজ্জব হয়ে যান উৎপলবাবু। দেখেন, আবাস যোজনায় যে বুলু কীর্তনিয়ার নাম রয়েছে, তাঁর দোতলা পাকা বাড়ি আছে। এছাড়াও রয়েছে ফ্রিজ, মোটরবাইক, তিন চাকা গাড়ি।
এলাকার বেশিরভাগই হত-দরিদ্র পরিবার। পাকা বাড়ি বেশিরভাগই মানুষেরই নেই। তাঁদের অনেকেরই নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। বাড়ি তৈরির জন্য তাঁদের নামে বরাদ্দ হচ্ছে টাকা। এদিন হেলেঞ্চা গ্রামে গিয়ে আবাস যোজনায় নাম থাকা একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্তা। তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা, রোজগারের দিকগুলিও খতিয়ে দেখেন। এদিকে এই হেলেঞ্চা গ্রামেরই বাসিন্দা বুলু কীর্তনিয়া।
এই বিষয়ে বুলু কীর্তনীয়ার সাফাই, তালিকায় কীভাবে তাঁর নাম উঠল সেবিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বিষয়টির তদন্ত করছে বাগদা থানা।
প্রসঙ্গত, এই সরকারি প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে মূলত দেশের গরিব মানুষের কথা ভেবে। যে সমস্ত দুস্থ পরিবারে রয়েছে ঘরের সঙ্কট তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই চালু করা হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু, বারবারই অভিযোগ উঠছে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল একাধিক পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে সরকারের খাতায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। রাজ্য সরকারের গাফিলতিকেই এ জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। পুলিশ যে তাঁর বাড়িতে এসেছিল তা নিশ্চিত করেছেন বাড়ির মালিক বুলু কীর্তনিয়া। তবে আবাস যোজনায় কী করে তাঁর নাম এল তা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন ৷