দেশের সময়: মূল্যবৃদ্ধির আগুনে পুড়ছে দেশ। অথচ সেদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের। তারা কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করতেই ব্যস্ত। ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে নিয়ে খেলা করছে বিজেপি সরকার। এভাবেই তোপ দাগলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এদিন তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে। টাকার দামের রেকর্ড পতন ঘটছে। এরকম একটা সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তারা বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচিত সরকারগুলিকে কীভাবে ফেলা যায়, সেই পরিকল্পনাতেই ব্যস্ত। তা হলে দেশের মানুষ কাদের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানাবে। তারা কোথায় যাবে। এভাবে কোনও দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
প্রসঙ্গত, আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয়েছে দু’দিন আগেই। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তারই জেরে এদিন তিনি কেন্দ্রকে নিশানা করে এভাবেই আক্রমণ শানিয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে, তাঁর বাড়িতে সিবিআই অভিযান ঘিরে মুখ খুলেছেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর তোপ, বিজেপি সরকার আপের জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছে।
তাঁর দাবি, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কেজরিওয়ালের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে। সেকারণেই এখন থেকেই আপ নেতাদের ভয় দেখাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। যদিও এসব করে কিছু হবে না। সিসোদিয়ার বক্তব্য, দিল্লিতে ফের সরকার গঠন করেছে আপ। পাঞ্জাবে বিপুল জয় এসেছে আপের। জাতীয় রাজনীতিতে আপের ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে। বিভিন্ন রাজ্যে আমাদের সাংগঠনিক উপস্থিতি রয়েছে।
আমাদের এখন পাখির চোখ পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন। আর এটা বুঝতে পেরেই আপ নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেই সিসোদিয়া অভিযোগ করেছিলেন, দিল্লির শিক্ষানীতি মডেল হয়েছে। আমেরিকার সংবাদপত্রেও তার প্রশংসা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এসব সহ্য হচ্ছে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। আসলে যাঁরা ভাল কাজ করেন, তাঁদের যেন তেন প্রকারে হেনস্তা করাই বিজেপির অন্যতম কাজ। এ কারণেই আমাদের দেশ নম্বর ওয়ান হতে পারছে না।