ঐতিহ্য ও পরম্পরা কে পাথেয় করে প্রতি বছরের মতো এই বছরেও “চারুকলা” উৎসবের সূচনা হলো বনগাঁ-য়। যা এবছর পদার্পণ করলো ২৫ তম বর্ষে। চিত্র, ভাস্কর্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শনীর মেলবন্ধনে যা অনন্য মাত্রা যোগ করতে চলেছে মানুষের মনে। “ভালবাসি ছবি, একসাথে পথ হাটি” এই ভাবনাকে সাথী করেই গত ২৫ ডিসেম্বর সোমবার বনগাঁ ত্রিকোণ পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে শহর পরিক্রমা করার পর ২৬ ডিসেম্বর বিশিষ্ঠ চিত্র শিল্পী সনাতন দিন্দার ছবি আঁকার মাধ্যমে ও বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শুভ সূচনা হলো অনুষ্ঠানের। দেখুন ভিডিও
মঙ্গলবার বনগাঁ চারুকলা উৎসব-এর শুভ উদ্বোধন করেন শিল্পী সনাতন দিন্দা। এছাড়াও সন্ধা থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন। বুধবার সকাল ন’টায় অনুষ্ঠিত হয় বসে আঁক প্রতিযোগিতা। দুপুর দু’টোয় মৃৎ কর্মশালার পাশাপাশি নবীন শিল্পীদের কর্মশালা অনুষ্ঠানকে নতুন মাত্রায় যুক্ত করবে বলেই মত আয়োজকদের। অন্যদিকে এদিন বিকেলে অভিজ্ঞ শিল্পীদের কর্মশালা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন উপভোগ করতে যেন মুখীয়ে আছেন বনগাঁবাসী।
এরপর ২৭ তারিখ বুধবার বিকেল চার’টে শিল্প বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে উৎসব প্রাঙ্গনে। ৩০ ডিসেম্বর সন্ধাবেলা চারুকলা উৎসব ২০২৩ প্রদর্শনী বিভাগে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। শনিবার দুপুরে মহিলাদের জন্য আলপনা প্রতিযোগিতা ও সন্ধায় পুরস্কার বিতরণী। রাত্রী আট’টায় প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে চারুকলা পর্ষদের সদস্য অমিত মন্ডল আমাদের জানালেন, “এই বছর চারুকলা উৎসব ২৫ বছরে পদার্পণ করলেও আদতে তা তিরিশ বছরের পুরনো”। “মাঝে কয়েক বছর বিশেষ কারনে এই মেলা বন্ধ থাকলেও চারুকলা উৎসবের পরিচালনায় পুনরায় তা শুরু করা সম্ভব হয়েছে”। “শুধু প্রদর্শনী নয় তার সাথে বহু ভাল মানের ছবি ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেবে এই উৎসব”।