অ্যারোজ কন লেচে একটি সুস্বাদু ডেজার্ট। এটি স্পেন আর পেরু দেশের চালের পুডিং যা তৈরি করা খুবই সহজ। এটি স্পেনের ঐতিহ্যবাহী একটি রেসিপি এবং ওনারা এটিকে প্রাতঃরাশেও খেয়ে থাকেন। এই পুডিংটি ভারতীয় চালের পায়েসের মতো কিছুটা অনুরূপ শোনালেও রান্নার প্রক্রিয়াটি চালের পায়েসের মতো হয় না। এটি অল্প লেবুর খোসা এবং দারুচিনির গন্ধের সাথে বেশ রিক্ত একটি ডেজার্ট। এই পুডিংটি গরম বা ঠান্ডা উভয়ই পরিবেশন করা যেতে পারে।
রেসিপি : অ্যারোজ কন লেচে (স্পেন / পেরু)
উপকরণ :
৫০ গ্রাম ছোট দানা চাল (আমি তুলাইপন্ঞ্জি চাল ব্যবহার করেছি)
৫০০ মিলি লিটার দুধ
১০০ গ্রাম গুড় (আমি নলেন গুড়ের পাটালি ব্যবহার করেছি)
২ ইঞ্চি কিউব করে কাটা কমলা লেবুর খোসা
১০-১২ টা সোনালী কিসমিস
৩ ইঞ্চি দারুচিনির ডাটি
৩ টি লবঙ্গ
১ টেবিল চামচ নারকেল কোরা
২ কাপ জল
২ টেবিল চামচ চিনি
ডেকরেশনের জন্য :
১/৪ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো
১০-১২ টা সোনালী কিসমিস
১/২ চা চামচ কমলালেবুর খোসার জেস্ট
প্রণালী :
কিসমিস ভালো করে ধুয়ে গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন।
চাল ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে তাতে দারুচিনির ডাটি, লবঙ্গ, কমলালেবুর খোসা ও জল দিয়ে অল্প আঁচে সিদ্ধ বসিয়ে দিন।
২০-২৫ মিনিট অল্প আঁচে রেখে সিদ্ধ করে জল টানিয়ে নিন। তারপর ভেজানো কিসমিস গুলো দিয়ে দিন।
অন্যদিকে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করে রাখুন।
চাল সিদ্ধ হয়ে গেলে দারুচিনি, লবঙ্গ ও লেবুর খোসা তুলে ফেলে দিতে পারেন অথবা রেখেও দিতে পারেন। আমি শেষ অবধি রেখে দিয়েছি।
চাল সিদ্ধ হলে দুধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
তারপর গুড় ও চিনি দিয়ে দিন।
ঘন হয়ে আসলে লেবুর খোসা, দারুচিনির টুকরো ও লবঙ্গ তুলে ফেলে দিয়েছি।
শেষে নারকেল কোরা দিন।
তারপর ভালো করে মিশিয়ে সার্ভ করার পাত্রে ঢেলে ওপর থেকে নারকেল কোরা, দারুচিনি গুঁড়ো ও কমলালেবুর খোসার জেস্ট ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
শীতের নলেন গুড় ছিল বেশ খানিকটা তাই আমি এই ডেজার্টে নলেন গুড়ের পাটালি ব্যবহার করেছি। তার পরিবর্তে ভেলি গুড় বা ব্রাউন সুগার ও চিনি একসাথে মিশিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। আর কমলালেবুর পরিবর্তে পাতিলেবুর খোসাও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ডেজার্টে কমলা লেবুর টুকরোও ব্যবহার করা যেতে পারে, আমি শুধু খোসার ব্যবহারই করেছি। সুগন্ধি চাল বা গুড় ব্যবহার না করলে ভ্যানিলা এসেন্স ব্যবহার করা যায়। এতে কনডেন্সড মিল্কের ব্যবহারও করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আলাদা করে আর কোন মিষ্টি জাতীয় উপকরণ দেওয়ার প্রয়োজন পরে না।
মৌসুমী দাস কলকাতা ।