দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ৬ কোটি টাকার গয়না লুট করে পালিয়েছিল তিন অভিযুক্ত।
তবে শেষরক্ষা হল না। লুটের পর ‘পেটিএম’এর মাধ্যমে চা কিনেছিল এক অভিযুক্ত। আর এতেই হল বিপদ। অনলাইনে টাকা লেনদেনের সূত্র ধরেই তিন যুবককে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তিন অভিযুক্ত যুবকের নাম নাগেশ কুমার (২৮), শিবম (২৩) ও মণীশ কুমার (২২)।
তিন জনই দিল্লির নজফগড়ের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটে বুধবার। চণ্ডীগড়ের একটি পার্সেল সংস্থায় কর্মরত সোমবীর নামে এক ডেলিভারি যুবক বুধবার বিকেলে তাঁর সহকর্মী জগদীপ সাইনির সঙ্গে পাহাড়গঞ্জের অফিস থেকে পার্সেল নিয়ে ডিবিজি রোডের দিকে যাচ্ছিলেন।
মিলেনিয়াম হোটেলের কাছে পৌঁছনোর পর তাঁরা দেখেন যে, সেখানে দু’জন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন পুলিশের উর্দিতে। অভিযোগ, এর পরই তাঁদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হবে বলে দুই যুবক সোমবীরদের পথ আটকান। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছন আরও দুই যুবক। এরপরই আচমকা সোমবীরদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে গয়না ভর্তি ব্যাগ ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
পালানোর সময় অভিযুক্তরা হুমকিও দিয়ে যায়। ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হন সোমবীর। শুরু হয় তদন্ত। ৭০০–রও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তার একটিতে দেখা যায়, এক জন ক্যাব চালকের সঙ্গে অভিযুক্তরা কথা বলছে। তাদের মধ্যে এক জন চা কেনার জন্য ওই চালকের অ্যাকাউন্টে পেটিএম মারফত ১০০ টাকা দেয়। আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরেই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন লুটের পর অভিযুক্তরা রাজস্থানে চলে গিয়েছে। তাদের পাকড়াও করতে জয়পুর রওনা দেয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৬ হাজার ২৭০ গ্রাম সোনা, তিন কেজি রুপো, ১০৬টি হিরে ও অন্যান্য গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ছ’ কোটি টাকা। ঘটনায় জড়িত আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। জানা গেছে এই লুটের ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড নাগেশ।