দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি ছেড়ে রবিবারই জোড়াফুলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে অর্জুন সিংয়ের। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বনগাঁ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব পেলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং । সোমবারই অর্জুনের হাতে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল। টিটাগড়ে দলীয় কর্মীসভা থেকেই অর্জুনকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন হাবড়ার বিধায়ক জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক৷
দলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসেই ফের তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন অর্জুন সিং। ভুল বোঝাবুঝির জন্যই তিনি দল ছেড়েছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। দলে ফেরার পর শান্তিতে রাতে ঘুমিয়েছেন বলে এদিন সকালেই সাংবাদিকদের জানান ব্যারাকপুরের সাংসদ। পাশাপাশি স্বমহিমায় ফিরে তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি, গুবাজি করা নিয়ে কড়া বার্তাও দিয়েছেন। তবে দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপের সুর শোনা যায় অর্জুনের গলায়।
তবে দলনেত্রীর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত দেখা না হলেও বড় দায়িত্ব পেলেন অর্জুন। এদিন টিটাগড়ে দলীয় কর্মীসভার পরই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের দায়িত্ব অর্জুন সিংকে দেওয়া হল বলে ঘোষণা করেন হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । একদিকে যখন শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যারাকপুরের দলীয় সংগঠনের দায়িত্বে আনার ভাবনা-চিন্তা করছে বিজেপি, তখন অর্জুনকে বনগাঁর দায়িত্ব প্রদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তবে দলনেত্রীর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত দেখা না হলেও বড় দায়িত্ব পেলেন অর্জুন। এদিন টিটাগড়ে দলীয় কর্মীসভার পরই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের দায়িত্ব অর্জুন সিংকে দেওয়া হল বলে ঘোষণা করেন হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । একদিকে যখন শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যারাকপুরের দলীয় সংগঠনের দায়িত্বে আনার ভাবনা-চিন্তা করছে বিজেপি, তখন অর্জুনকে বনগাঁর দায়িত্ব প্রদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত কয়েকদিন ধরেই ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দল ছাড়ার জল্পনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু, বারবারই তিনি ‘পুরোটাই জল্পনা’ বলে দাবি করে এসেছিলেন। এরপর রবিবার আলিপুরের একটি অভিজাত হোটেলে যান অর্জুন। সেখানে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে যোগদান করেন তৃণমূলে। অর্জুন সিংয়ের প্রত্যাবর্তনের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, “অর্জুন সিংকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি বিজেপি-র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এবং আজ তৃণমূলের পরিবারে তিনি যোগদান করলেন। গোটা দেশজুড়ে মানুষ ভুগছে।
তাঁদের আমাদের প্রয়োজন। লড়াইটা জারি থাকুক।” দলে ফিরেই অর্জুন সিং বলেন, ‘‘পশ্চিমবাংলায় বিজেপি যেভাবে চলছে, সংগঠনকে ড্যামেজ করে দিয়েছে৷ সংগঠন বলে কিছুই নেই৷ আমরা যাঁরা বিজেপি-তে এসেছিলাম, তাঁরা নামে বিজেপি-তে ছিলাম, আমাদেরকে বিশ্বাসই করতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, রবিবার ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দলত্যাগে কার্যত জেলা বিজেপির অন্দরের শোরগোল হয়ে যায়। এরপর সোমবারই তড়িঘড়ি নিউটাউনের একটি হোটেলে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব বৈঠকে বসে। হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার , বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় নেতা ভূপেন্দ্র যাদব ও অমিত মালব্য । আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল, বারাকপুরের সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব বাছাই। সেখানেই ব্যা রাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি -র দায়িত্ব পান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।