Anubrata Mandal: উডবার্নে বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হবে অনুব্রতকে,বিষ্ফোরক মন্তব্য বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের

0
1380

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হাসপাতালে বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলা হতে পারে তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার।

অনুব্রত মণ্ডল- নামটাই যথেষ্ঠ! তৃণমূলের প্রভাবশালী এই নেতা  বাক্য বোমায় খ্যাত। কিন্তু এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর তাঁকে নিয়ে একের পর এক সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। 

‘অনুব্রত মণ্ডলকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ চাঁদপাড়ায় এক পথসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি বলেন, “বগটুই কাণ্ড আমরা দেখেছি। ১০ জন মানুষকে অসহায় অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে মারা হয়েছে। আর তার যে মাস্টারমাইন্ড, সেই অনুব্রত মণ্ডল এখন পেট ফুলিয়ে উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে রয়েছেন।

আমার তো মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে আর ফিরতে দেবেন না। কারণ যে কুকেচ্ছা আছে, সব অনুব্রত মণ্ডল সব উগরে দিতে পারেন সিবিআই-এর কানে। তাহলে ভাইপো থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সব বড় বড় রাঘব বোয়ালরা জেলে যাবেন।”

মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক শোরগোল বনগাঁয়। এ প্রসঙ্গে বনগাঁ তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, “ওঁ তো সেই লেভেলেরই লিডার নন। অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে তাঁর জায়গায় একচ্ছত্র রাজনৈতিক আধিপত্য চালান, তা সিবিআই নিজে দেখছে। অনুব্রতর কী হবে, সেটা বলার মতো যোগ্যতা তো ওই নেতারই নেই। তাঁদের তো সুকান্তবাবুদের মতো লোকই কোনও কথা বলতে পারলেন না, তাহলে ও কে বলার। একটি মিথ্যা কেস করিয়ে সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো হচ্ছে। যিনি বলছেন, তিনি তো নিজেই একজন নারকোটিকের আসামী ছিলেন। বিজেপিকে টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। সিবিআই তো পাল্টা ওঁকে প্রশ্ন করবে, ওঁ কীভাবে জানলেন অনুব্রতকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে?” স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।উনি জাল শংসাপত্র দিয়ে বিধায়ক হয়েছেন। ওঁর এই সব কথা বলার কী অধিকার আছে?

গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, “অত্যন্ত ভিত্তিহীন কথা। এই সব কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই। আইন আইনের পথেই চলবে। ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে স্বপন মজুমদার। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।” কীসের ভিত্তিতে একথা বললেন স্বপন মজুমদার? তার ব্যাখ্যা অবশ্য বিজেপি বিধায়কের কাছ থেকেও পাওয়া যায়নি।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিবিআই-এর দফতরে হাজিরা দিতে যাননি তৃণমূলের প্রবল প্রতাপশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এসএসকেএম-এর উডবার্নে ভর্তি রয়েছেন তিনি।  তবে তাঁর সিবিআই-এর কাছে হাজিরা না দেওয়া প্রসঙ্গে বিরোধীরা একাধিক কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, সিবিআই হাজিরা এড়াতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনুব্রত। 

Previous articleDesher Samay e Paper দেশের সময় ই পেপার
Next articleDelhi Covid: দিল্লিতে ব্যাপক করোনা!‌ গত ১৫ দিনে সংক্রমণ বেড়েছে ৫০০%‌, বলছে সমীক্ষা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here