দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার আমতা থানার চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের চাটরা মোল্লাপাড়া এলাকায়। মৃতের নাম লাল্টু মিদ্দ্যা (৩৩)। বাড়ির সামনের পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীর দেহ। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবাদে আমতার চন্দ্রপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ। পথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
বছর খানেক আগে আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল হাওড়ার আমতা। সেই আমতা ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম লাল্টু মিদ্দা। বছর ৩৩-এর লাল্টু এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। রবিবার সকালে বাড়ির অদূরের একটি পুকুর থেকে লাল্টুর দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের কথায়, রাত আটটা নাগাদ একবার বাড়ি আসেন লাল্টু। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবার বেরিয়ে যান। তারপর আর রাতে বাড়ি ফেরেননি তিনি। সকালে বাড়ির কাছের পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার হয়। খুন না এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, লাল্টুকে খুন করেছে কেউ। তাঁর দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, মাথায় কাটা দাগ আছে। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন পরিবারের কেউই। লাল্টুর দিদি হাসিনা বেগমের কথায়, ‘আমার ভাই তৃণমূল করে। পার্টির মধ্যে দু-তিন দল হয়ে আছে। তাই আমার সন্দেহ ছিল হয়তো কেউ ওঁকে মেরে দিতেও পারে।’
তবে সেই সন্দেহ যে সত্যিই হবে তা ভাবতে পারেননি লাল্টুর দিদি।
লাল্টুর স্ত্রীয়ের কথায়, ‘রাত সাড়ে ন’টা নাগাদও কথা হয়েছিল। তখন বলেছিল তাড়াতাড়ি চলে আসব। কিন্তু আর রাতে ফেরেনি।’ তাঁর অভিযোগ, লাল্টু যেহেতু তৃণমূল করত তাই ওঁর অনেক শত্রু ছিল। সপ্তাহ খানেক আগে অনেকে তাঁদের ঘর ভেঙে দিয়েছে বলেও অভিযোগ।
লাল্টুর মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে আমতা। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিরোধীরা খুন করেছে লাল্টুকে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকেই এই খুন। স্থানীয়দের কথায়, তৃণমূল কর্মীর খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। যদিও পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল তৃণমূলকে খুন করছে, এটা নিত্য ঘটনা। কোথাও কোনও গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা, আর সিপিএমকে অভিযুক্ত করে। আবার একটা মিথ্যা। সিপিএমকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ সিপিএম নাকি খুন করেছে।”