কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর নৃশংস হামলার পরেই কাশ্মীরের মাটিতেই সাফল্যের মুখ দেখল নিরাপত্তা বাহিনী।
কাশ্মীরের বান্দিপোরায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের এনকাউন্টার হয়েছে। আর সেই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় লস্কর-ই-তৈবা কমান্ডার আলতাফ লাল্লির।সেনা-সূত্র উদ্ধৃত করে শুক্রবার প্রকাশিত খবরে এই দাবি করা হয়েছে।পহেলগামে লস্কর-এর হাত রয়েছে বলে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির দাবি। তার পর থেকেই জঙ্গি দমনে পাল্টা আঘাত করতে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।একাধিক জায়গায় শুরু হয় গুলির লড়াই বান্দিপোরাতেও শুরু হয়েছিল এনকাউন্টার।

শুক্রবার গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বান্দিপোরায় অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। আগেই স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, ওই অপারেশনে এক জঙ্গির খোঁজ মিলেছে, যাঁকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই এনকাউন্টারের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ২ জন জওয়ান জখম হয়েছেন।

এরই মধ্যে সেনা প্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী শ্রীনগর পৌঁছেছেন। বান্দিপোরায় অপারেশন নিয়ে তাঁকে ব্রিফও করা হয়েছে। কাশ্মীরে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। জঙ্গি মোকাবিলায় কী ভাবে অভিযান চলবে, তাঁর খুঁটিনাটি বিবরণও দেখবেন তিনি।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে সেনার জঙ্গি দমন অভিযান আরও জোরদার হয়েছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে ভারত-বিরোধী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরে এলওসিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পাশাপাশি লশকর এবং তার ছায়া সংগঠন আরটিএফের বিরুদ্ধেও সক্রিয় হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। উপত্যকায় দুই লশকর জঙ্গির ঘর ভেঙে দিয়েছে তারা।

