দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আলোরানি সরকারকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানো হোক। রবিবার এমনই দাবি তুললেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার।
এই দাবিতে রবিবার একটি বিক্ষোভ মিছিলও করে বিজেপি। রবিবার সন্ধেয় বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের গোপালানগর থানা এলাকার নহাটা বাজারে প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মিছিলে পা মেলান বিধায়ক। ছিলেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রাম পদ দাস।
ফেস্টুন ব্যানার হাতে নহাটা বাজার এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে পদ্ম কর্মীদের। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন আলোরানি সরকার। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে হেরে যান তিনি। এরপর হাইকোর্টে একটি ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন তিনি। আর তাতেই সমস্যায় পড়েন আলোরানি সরকার।
নিজের দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন পাল্টা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে আলোরানি সরকারের জন্য। মামলায় দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন, এমন একজন কীভাবে নির্বাচনে লড়াই করলেন, তা খতিয়ে দেখতে হবে। কীভাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চোখ এড়িয়ে গেল বিষয়টি, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
যদিও আলোরানি সরকারের দাবি, তাঁর জন্ম এই দেশেই। কিন্তু বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশে। বিষয়টি নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
বিজেপি বিধায়ক বলেন, “আদালত ইতিমধ্য়েই মামলার রায় দিয়েছে। আলোরানি সরকার বাংলাদেশি তা প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের আবেদন, যত শীঘ্র সম্ভব আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হোক।
ডিভিশন বেঞ্চে আবারও ঘাড় ধাক্কা খাবেন। ওনার জন্ম বাংলাদেশে। ২০০৪ সালে ছেলে-মেয়ে নিয়ে এ দেশে এসেছে। বাংলাদেশে জামাত-ই-ইসলাম, বিএনপির সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র আছে। সব তথ্য আমার কাছে আছে।”
এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, “ওদের কোন কাজ নেই লোক নেই স্বপন বাবুরও জেলে যেতে হবে। জাল সার্টিফিকেট নিয়ে ভোটে দাড়িয়ে জিতেছেন। বিধানসভার পদ যাবে সুতরাং ওদের নিয়ে মাতামাতি করার কোন জায়গা নেই।”