দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজয়া সম্মেলনীতেই তাজপুরে সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অনুমতি দিল রাজ্য সরকার।
পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের (বরাত আদানি শিল্পগোষ্ঠীকে দেওয়ার ব্যাপারে পুজোর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর সরকারি ভাবে ঘোষণা হয়েছে ঠিকই। তবে ‘শুভ কাজ’ শুরুর আগে আদানি শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ককে ভিন্ন মাত্রা দিতে চাইল নবান্ন।
বুধবার সন্ধেয় নিউটাউনের ইকো পার্কে বিজয়া সন্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি থেকে শুরু করে শিল্প ও বণিকসভার প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন আদানি শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির ছেলে তথা আদানি পোর্টসের সিইও করণ আদানিও।সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই হাজির ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা।
সেখানেই ঘরোয়া পরিবেশে করণ আদানির হাতে তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য এদিন লেটার অফ ইন্টেন্ট তথা এলওআই তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার।রাজ্য সরকারের দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর এই বিনিয়োগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য গত বছর ১৮ অক্টোবর রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। তাতে বলা হয়েছে, ডিজাইন, বিল্ড, অপারেট এবং ট্রান্সফার মডেলে বিনিয়োগ চাইছে নবান্ন। এর পর প্রযুক্তিগত ও আর্থিক মূল্যায়নের পর নবান্ন সিদ্ধান্ত নেয় যে আদানি শিল্পগোষ্ঠীকেই এলওআই দেওয়া হবে।
কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে তাজপুরের কাছে এই গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা হবে। জাতীয় সড়ক থেকে প্রস্তাবিত বন্দরের দূরত্ব হবে মাত্র ৫ কিলোমিটার। আর কাছের রেল স্টেশন হবে রাজনগর। এই বন্দরের ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলের নাব্যতা থাকবে ১২.১ মিটার। জোয়ারের সময়ে সেই নাব্যতা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ১৬ মিটার।
নবান্ন জানিয়েছে, এই বন্দর নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। পোর্টের সঙ্গে আনুসঙ্গিক পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ হবে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে চলেছে তাজপুরে।
নবান্নের দাবি, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। পরোক্ষে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন আরও অন্তত ১ লক্ষ মানুষ।