দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার দুপুরের আকাশ দেখেও বোঝার উপায় ছিল না। কিন্তু বিকেলে গড়াতেই পাল্টে গেল আকাশের চেহারা। তুমুল ঝড়ে লণ্ডভণ্ড অবস্থা হল কলকাতার । বৃষ্টিও হয়েছে সীমান্ত শহর বনগাঁতেও
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ছিলই, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান ও বীরভূম এবং পরবর্তীতে হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনা সত্যিই করেই বিকেল গড়াতেই শুরু হয় ঝড়ের তাণ্ডব।
প্রথমে হাল্কা ঝড় ওঠে, তারপর ধীরে সেই ঝড়ের প্রকোপ বাড়তে থাকে। শুরু হয় ধুলো ঝড়। সেইসঙ্গে আকাশে দেখা যায় কালো মেঘের আনাগোনা, সেইসঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকানি।
ঝড়ের দাপটে কোথাও উড়ে গেছে টিনের চাল, কোথাও আবার ভেঙে পড়েছে গাছ। তারপরই ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। ঝড়ের গতি কমলেও বাড়তে থাকে বৃষ্টির তোর।
শুধু কলকাতা নয়, উত্তর২৪পরগনা ,হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়াতেও একই অবস্থা।
এমনকী ঝড়ের কারণে ভাতারে সভার পথে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে আটকে পড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে অভিষেকের কনভয় আটকে যায় রাস্তায়। ওই পথে গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অন্য দিকে, ঝড়ের তাণ্ডবে সভামঞ্চও ভেঙে গিয়েছে। তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, অভিষেকের সভা বাতিল হওয়ার কথা ৷
‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে এখন বর্ধমানে আছেন অভিষেক। সোমবার বর্ধমানের ভাতারে রোড-শো শেষ করে তিনি মঙ্গলকোটের নতুনহাটে সভা করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভাতারের রাস্তাতেই ঝড়ে আটকে পড়েন তিনি। এই অবস্থায় তাঁর সভা আর হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সূত্রের খবর, প্রায় এক ঘণ্টা আটকে থাকেন তিনি। সভাস্থলে ছিলেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু প্রবল ঝড়ের জন্য তৃণমূল নেতা দেবু টুডুরা সভাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েক’টি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সোমবার বিকেল থেকেই কলকাতা-সহ বেশ কয়েক’টি জেলায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কয়েক জায়গায় দমকা হাওয়াও বইছে। বর্ধমানে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়ায়। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে আটকে পড়েন অভিষেক। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ১৮ মে, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সময় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।