দেশের সময়, কলকাতা: পুজো শেষ হতে না হতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইডি দফতরে যাবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তেই অভিষেককে ডেকে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সূত্রে এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। দীপাবলির মুখে তাঁকে ফের নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি দফতরে ডাকা হয়েছিল। ওই দিন দিল্লিতে তাঁর ধর্না কর্মসূচি থাকায় অপারগতার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। কৌতূহলের বিষয় হল, বৃহস্পতিবার কি তিনি যাবেন সিজিওতে?
কালীঘাট ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে যেতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ৯ নভেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের ফলতায় বিজয়া সন্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। তা পিছিয়ে ১০ তারিখ করা হয়েছে। হতে পারে এই কারণেই তা পিছনো হয়েছে।
বারবার অভিষেককে ইডি তলব করার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল। কারণ তাঁদের মতে, গত এক বছরে দেখা গিয়েছে অভিষেকের রাজনৈতিক কর্মসূচির দিন বেছে বেছে তাঁকে ডাকা হচ্ছে। এ বছর ২০ মে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। আবার ১৩ জুন নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই তাঁকে হাজিরা দিতে বলে ইডি। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিন সিজিওতে ডেকে তাঁকে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির অফিসাররা।
তবে ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টই তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। বস্তুত হাইকোর্টের নির্দেশের পর অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নোটিস পাঠায় ইডি। অভিষেকের বাবা-মা সিজিওতে যাননি। তবে রুজিরা গিয়েছিলেন। অভিষেকের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কেও এক প্রস্ত জেরা করেছে ইডি।
সূত্রের খবর, তাঁকে শিগগির ফের তলব করা হবে।
সব মিলিয়ে দীপাবলির উৎসবের মধ্যেই বাংলার পরিবেশ ইডি-সিবিআই ময় হয়ে রয়েছে। আপাতত এহেন ঘটনাপ্রবাহ চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।