দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পুরভোটের আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে তৃণমূলে।
অনেকেই বলছেন, দলের মধ্যে দুটি আড়াআড়ি বিভাজন শুরু হয়েছে। পুরভোটের আগে প্রার্থী তালিকা নিয়ে আইপ্যাকের সঙ্গেও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে জানা যায়, আইপ্যাক পরিচালনার দায়িত্ব সিংহভাগই অভিষেকেরই। তবে তাঁকে ঘিরে দলের অন্দরেই অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
সূত্রের খবর, ‘অভিমানে’ নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইছেন তিনি। অভিষেকের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের দাবি, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় ভোট পর্ব মিটলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অভিষেক। সোমবার বিকেলের পর কিংবা মঙ্গলবার টুইট করে নিজের বক্তব্য ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
অভিষেকের সঙ্গে গোয়া থেকে ফোনে যাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁরা সকলেই বলছেন যথেষ্ট অভিমানী অভিষেক। সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার অনুরোধেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। এদিকে সরকার চালানোর পাশাপাশি দলের এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো বিরক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রীতিমতো আড়াআড়ি বিভক্ত দলের শীর্ষ নেতারা। এই পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক কাজকর্ম থেকে দূরে সরে আসতে চাইছেন অভিষেক।
সূত্রের খবর, তিনি দলের এক নেতাকে বলেছেন, ‘আমি বারবার বলেছি আগামী কুড়ি বছর কোনও প্রশাসনিক পদে বসব না। আমি সংগঠনের কাজ করতে ভালবাসি। কিন্তু কোনও কোনওমহল থেকে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে আমি অপমানিত। তাই আমি নিজেই সরে থাকব। তার থেকে সাংসদ হিসেবে নিজের এলাকা নিয়ে থাকব।’
যদিও দলের আর একাংশের ধারণা, অভিষেক পাল্টা চাপ দিতে চাইছেন। দলের সাংগঠনিক পদ ছেড়ে দিতে চেয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের চাপে ফেলতে চাইছেন তিনি। যদিও অভিষেক ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘এর মধ্যে পাল্টা চাপের কোনও রাজনীতি নেই।’ যদিও এহেন টালবহানার মধ্যে তিনি কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন তার দিকে নজর রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলের।