দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুচমুচে কিস্যা আকছার হচ্ছে। সেলেব্রিটিদের নিয়ে ভুয়ো, মুচমুচে খবর পরিবেশন নতুন নয়। শুধুই সেলেবরা নন, তাঁদের পরিবার, সন্তানদের নিয়েও ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনা আকছার ঘটছে। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে যা আরও বেড়েছে। ইউটিউব খুললেই এমন মিথ্যা খবর চোখে পড়ে সবারই। এবার সেই নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অমিতাভ বচ্চনের নাতনি, অভিষেক-ঐশ্বর্যর কন্যা আরাধ্যা বচ্চন ৷
এমনিতে তারকাদের জীবন বরাবরই সাধারণ মানুষের কাছে আগ্রহের বিষয়। অমিতাভ বচ্চন সকালে ঘুম থেকে কখন ওঠেন, শাহরুখ খান দিনে ক’বার ব্ল্যাক কফি খান, এসব কিছুই আমজনতা গোগ্রাসে গিলতে থাকেন। এই সুযোগেই সেলেব্রিটিদের নিয়ে বহু ভুয়ো খবর ইউটিউবে ঘুরে বেড়ায়। আদতে এমন কাজ করেন কিছু সংখ্যক ইউটিউবার। রাতারাতি অনেক ভিউস নিয়ে টাকা রোজগারের জন্যই দিন দিন তাঁদের এমন মিথ্যাচার বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই নিয়ে সরব হলেন মাত্র ১১ বছরের ছোট্ট আরাধ্যা।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কিছু ইউটিউবার আরাধ্যা বচ্চনের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে এমনই কিছু মিথ্যে গল্প দিয়ে ভিডিও বানিয়ে তা ইউটিউবে ছেড়েছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে সেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। লাখ লাখ ভিউস কুড়িয়েছে। এবার এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধেই সরব হল বচ্চন পরিবারের ছোট্ট সদস্য। দিল্লি হাইকোর্টে সে অভিযোগ করল, তাকে নিয়ে মিথ্যা খবর পরিবেশন করে মুনাফা লুটছে ইউটিউবের বেশ কয়েকটি চ্যানেল। এর পাশাপাশি তার আরও দাবি, এতে ওই ইউটিউবারদের লাভ হচ্ছে কিন্তু বচ্চন পরিবারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ১০টি ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন আরাধ্যা। সেই চ্যানেলগুলির নামের তালিকা দিল্লি উচ্চ আদালতে পেশ করেছে আইন সংস্থা আনন্দ এবং নায়েক। আদালতে দায়ের করা ওই পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘বিবাদী পক্ষ এবং তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করাই অভিযুক্ত ইউটিউব চ্যানেলগুলি আসল উদ্দেশ্য। বচ্চন পরিবারের সুনাম নষ্ট করে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করছেন একাংশ ইউটিউবার।’ আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি হবে।
২০২১-এর ডিসেম্বরে প্রথম আরাধ্যাকে নিয়ে ভুল খবর ছড়ানো হয়। সেই সময় প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন অভিষেক বচ্চন। নিজের মেয়েকে নিয়ে করা একটি ভুল তথ্যও তিনি মেনে নেননি। উপযুক্ত জবাব দিয়েছিলেন। একটি সাক্ষাৎকার বলেছিলেন, তিনি অভিনেতা। জনসাধারণ তাঁকে কিছু বললে তিনি মনে করেন না। কিন্তু তাঁর মেয়েকে নিয়ে করা একটা কথাও তিনি শুনতে রাজি নন। মেয়েকে তিনি যে অকারণ প্রচারের আলোয় আসতে দেবেন না, সে কথাও স্যেপষ্ট করে দেন।