বৃষ্টির মধ্যেই বনগাঁ থানার সামনে অসুস্থ হয়েপড়ে যান এক পথচারী, স্থানীয় মানুষ উদ্ধার করেন তাকে। -ছবি দেশের সময়৷
দেশের সময়: অবশেষে বৃষ্টি নামল বুধবার বিকালে, খুশি এলো বনগাঁ-বাগদা-গাইঘাটা ব্লকের চাষিদের মুখে। বীজতলা বাড়িয়ে বেশি এলাকায় চাষ করবেন বলে ভাবতে শুরু করলেন চাষিরা। টানা অনাবৃষ্টি চাষিদের আশা বরবাদ করে দিয়েছিল। নিজেদের খাবারের সংস্থানটুকুই হবে কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলার কৃষককুল।
কৃষি দপ্তরের হিসেব, এবার এ পর্যন্ত উত্তর২৪ পরগনা জেলায় অন্য বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। আমন চাষের জন্য জেলায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও বৃষ্টির অভাবে তুলনায় অনেক কম জমিতে বীজতলা করা গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় সেই বীজও শুকিয়ে গিয়েছে।
শুধু ধানই নয়, বৃষ্টি না হওয়ায় পাটচাষিরাও দুশ্চিন্তায়। এই সময় জমি থেকে পাট কেটে আঁশ বের করার জন্য জলে ডুবিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু সেই জল না মেলায় কীভাবে পাট পচানো হবে, সেটাই প্রশ্ন। এখন কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছেন জেলার কৃষকরা।
তবে শুকনো আবহাওয়ায় আনাজ চাষের কিছুটা সুরাহা হয়েছে। অন্যবার এই সময় টানা বৃষ্টিতে আনাজের জমিতে জল জমে গোড়া পচে গিয়ে গাছ পচে যায়। ফলনও কমে যায়। এবার তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় বেগুন, পটল, ঝিঙে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বরবটির ফলন ভালই হয়েছে।
বৃষ্টিস্নাত বনগাঁ শহর, দেশের সময়৷
এখন দেখার বুধবারের বৃষ্টির পরিমাণ কতটা হয়,সেই সাথে সম্পূর্ণ বর্ষা আসে কিনা!চাষি মহলে কতক্ষণ টেকে থাকে এই খুশির হাওয়া সেটাই দেখার।