

দুর্গাপুরে ওড়িশার ডাক্তারি ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ ঘটনায় দুর্গাপুর পুরনিগমের অস্থায়ী এক কর্মীকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার জন। রবিবার তিন জনকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। রাতে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, তিনি দুর্গাপুুর পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত। সোমবার তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। এখনও পর্যন্ত এক অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

একই সঙ্গে কলেজ লাগোয়া জঙ্গলে ড্রোন উড়িয়ে বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ করছিল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত চতুর্থ জনও স্থানীয় বাসিন্দা। সব মিলিয়ে মূল পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও এক জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এ ছাড়াও নির্যাতিতা তরুণীর সহপাঠীর ভূমিকাও অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা ঘটনায় তার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ এক সহপাঠী যুবকের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ওই তরুণী। অভিযোগ সেই সময়েই স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাঁকে টেনে হিঁচড়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং নির্যাতন করা হয়। ওই তরুণী ওডিশার বাসিন্দা। খবর পেয়ে দুর্গাপুরে পৌঁছে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। এর ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

এ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন তুঙ্গে। বাংলায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলায় অপরাধের ঘটনার ক্ষেত্রে জ়িরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘যা ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়।পুলিশকে বলেছি কঠোর ব্যবস্থা নিতে। কোনও অপরাধী যেন ছাড় না পায়।’ যদিও নির্যাতিতার বাবা জানান, তিনি মেয়েকে আর বাংলায় রাখতে চান না। ওডিশা নিয়ে চলে যেতে চান। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ও়ড়িশা থেকে একটি প্রতিনিধিদল রবিবার দুর্গাপুরে এসেছিলেন। তাঁদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সোমবার ওড়িশা থেকে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা দুর্গাপুরে আসবেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তারা ওড়িশা সরকারকে দেবে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝী দুর্গাপুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

