

বিহারে বিধানসভা ভোটের মুখে পাকিস্তানি জয়েশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি হামলার ছক। তিন জয়েশ জঙ্গি নেপাল হয়ে বিহারে ঢুকে পড়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। আর তারপরই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে রাজ্য জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিহারে ঢোকা-বেরনোর সব রাস্তায় কড়া তল্লাশি চলছে। বিশেষত নেপাল সীমান্ত এলাকায়।

পহলগাম হানার পর অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি লস্কর-ই-তোইবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিগুলি নিকেশ করে দেয় ভারত। তারপর থেকেই পাক সেনা ও চর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে জঙ্গিরা মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগে জানা যায়, ভারতে প্রতিশোধমূলক হামলার ছকে জয়েশ গোপনে আন্তর্জাতিকভাবে চাঁদা সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছে। কিন্তু, এবার সরাসরি ভারতে ঢুকে হামলা চালানোর ছক কষেছে জয়েশ, সেটা প্রকাশ্য এসে গিয়েছে।

দেশের গোয়েন্দা সংগঠনগুলি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহার সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে এ ব্যাপারে। বলা হয়েছে, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের তিন তালিমপ্রাপ্ত জঙ্গি রাজ্যে ঢুকে পড়েছে। তিন জঙ্গিই নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে বিহারে এসেছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। বিহার পুলিশের পদস্থ কর্তারা জানান, সন্দেহভাজন তিনজনের নাম হল, হাসনান আলি, বাড়ি রাওয়ালপিন্ডি। আদিল হুসেন, বাড়ি উমেরকোট এবং জয়েশের একদা সদর দফতর বাহাওয়ালপুরের বাসিন্দা মহম্মদ উসমান।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিন জঙ্গি অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাঠমান্ডুতে এসে পৌঁছয়। সেখান থেকে গত সপ্তাহে বিহারে ঢুকে পড়েছে। পুলিশের সদর কার্যালয় থেকে জঙ্গিদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিবরণ সব থানাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি রাজ্যকে নজররদারি ও বিভিন্ন সোর্সকে কাজে নামানোর নির্দেশ দিয়েছে। জেলা গোয়েন্দা বাহিনীকেও স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
এরপরেই এদিন সকাল থেকে বিহারের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টহলদারি ও নজরদারি কঠোর করা হয়েছে সীমাঞ্চল, মধুবনী, সীতামাঢ়ী, সুপৌল, আনারিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ জেলায়।