দেশের সময়ঃ যত দিন যাচ্ছে, তাপমাত্রা কমার তো লক্ষণ নেইই, বরং তা বেড়েই চলেছে। শুধু তাই নয়, তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। আর এই আর্দ্রতা বাড়ার প্রভাব পড়ছে বাংলায়। কারণ, আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অস্বস্তিসূচকও ( Discomfort Index ) বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। শুক্রবার কলকাতার অস্বস্তিসূচক ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অস্বস্তিসূচক জানান দিচ্ছে, মেডিক্যাল ইমার্জেন্সির পর্যায়ে রয়েছে এই তাপমাত্রা।
কলকাতায় শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত কয়েকদিনে সবথেকে বেশি। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আপেক্ষিক আর্দ্রতাও। এ দিন কলকাতার আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭২ শতাংশ। এই তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতার ফলে অস্বস্তিসূচক ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অস্বস্তিসূচকের তালিকায় ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি গেলেই সেই অবস্থাকে বলা হয় ‘স্টেট অফ মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি’ অর্থাৎ চরম অস্বস্তিসূচক অবস্থা। অর্থাৎ কলকাতার অবস্থা এখন সে রকমই।
অস্বস্তিসূচক বের করার ফর্মুলা:
Discomcomfort Index (DI)= T-0.55×(1-0.01H)×(T-14.5)
T= Air temperature
H= Relative humidity
আপাতত গরম থেকে স্বস্তি নেই রাজ্যবাসীর। উল্টে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এই গরম আরও বাড়বে। আগামী দু’দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি থাকবে বলে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। তার সঙ্গে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও।
সেইসঙ্গে পশ্চিমের ৫ জেলায় চলবে তাপপ্রবাহও। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদে আগামী ৪৮ ঘন্টায় তাপমাত্রা আরও বাড়বে। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ চলবে। গরম থাকবে উপকূলের জেলাগুলোতেও।
বর্ষা কবে বাংলায় ঢুকবে তা এখনও নির্দিষ্ট নয়। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সপ্তাহের শেষে হয়তো বোঝা যাবে, বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গরম বাড়ায় গলদঘর্ম অবস্থা সাধারণ মানুষের। কার্যত বেলা বাড়ার সঙ্গেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে কলকাতার রাস্তাঘাট।