
জাপানকে পিছনে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হলো ভারত। এ কথা জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্ম্যণম। শনিবার নীতি আয়োগের দশম গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। সুব্রহ্ম্যণম আরও জানিয়েছেন, সামগ্রিক ভূরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবেশ ভারতের পক্ষেই রয়েছে।

গোটা পৃথিবীজুড়ে আর্থিক মন্দায় জেরবার বহু দেশ, হিমশিম অবস্থা তাদের। তার মাঝেই বিশ্ববাজারে আরও পোক্ত হল ভারতের অবস্থান। জাপানকে ছাপিয়ে ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের মোট জিডিপির চার ট্রিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে ফেলেছে। বিরাট সাফল্যের এই ঘোষণা করেছে নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম।

নীতি আয়োগের দশম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রহ্মণ্যম জানান, সামগ্রিক ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিবেশ ভারতের পক্ষে অনুকূল। আইএমএফের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, “ভারত এখন চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশ। আজ ভারত জাপানের চেয়েও এগিয়ে।”

এই ঘোষণার সঙ্গেই ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সুব্রহ্মণ্যম। বলেছেন, “অর্থনীতির বিচারে এখন ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং জার্মানি। আমরা যদি পরিকল্পনা এবং চিন্তাভাবনা মেনে চলি, তাহলে আড়াই-তিন বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হব।”

দেশজুড়ে চালু হওয়া বিভিন্ন আর্থিক সংস্কার, মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প ভারতীয় অর্থনীতিতে এগিয়ে যেতে সহায়তা যেমন করেছে। তেমনই আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিও ভারতের পক্ষে গিয়েছে। এসবের জন্যই ভারতীয় অর্থনীতিতে সাফল্য এসেছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যেসব আইফোন অ্যাপল কোম্পনি আমেরিয়ায় বিক্রি করবে সেগুলি মার্কিন মুলুকেই তৈরি হতে হবে। ভারতে তৈরি হয়ে সেদেশে বিক্রিয় জন্য গেলে অ্যাপেলের আইফোনে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে, নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, “শুল্ক কী হবে তা অনিশ্চিত। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ভারতই উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে সস্তা জায়গা।”

এছাড়া সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, অগস্টে দ্বিতীয় দফার সরকারি সম্পত্তি বিক্রির কর্মসূচি শুরু হবে, ফলে কিছু সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে।