
বড়সড় দুর্ঘটনার ঘটে যেতে পারত। তবে কপাল জোরে বেঁচেছেন দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমানের যাত্রীরা। বুধবার সন্ধেয় এয়ার টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়েছিল সেটি। পরিস্থিতি এমন ছিল যে বিমানের ‘নাক’ ভেঙে যায় এবং তার জরুরি অবতরণ করতে হয়। এই বিমানে ছিলেন কাশ্মীর সফরকারী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও । তাঁরা বলছেন, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন!

ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে কাশ্মীরে যেখানে গুলি-গোলা চলেছে সেখানেই গেছে তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দল। মূলত শ্রীনগর, পুঞ্জ এবং রাজৌরি ঘুরে দেখবে তাঁরা। এই দলে রয়েছেন, ডেরেক ও ব্রায়েন, নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মমতা ঠাকুর এবং রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এঁরাই বুধবারের দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বিমানে ছিলেন। এমন অভিজ্ঞতা হওয়ার পর সাগরিকা ঘোষের কথায়, ”সাক্ষাৎ মৃত্যু দেখলাম যেন! আমার মনে হচ্ছিল আজই জীবনের শেষ দিন। যাত্রীরা চিৎকার করছিল, ভয়ে প্রার্থনা করা শুরু করেছিল। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলাম…”

যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল তখন বিমানটি শ্রীনগরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছিল। প্রবল শিলাবৃষ্টির ফলে বিমানের সামনের অংশ, বিশেষ করে ‘নোজ কন’-এর কিছুটা অংশ ভেঙে যায়। তবে পাইলট ও ক্রুর তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত বিমানটি সন্ধে ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ নিরাপদে শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তৃণমূল সাংসদরা পাইলটকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

শ্রীনগর বিমানবন্দরের আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন, বিমানে থাকা ২২৭ জন যাত্রী এবং সমস্ত ক্রু সদস্য সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন। তবে বিমানের ক্ষতির মাত্রা এতটাই যে, তা ‘এয়ারক্রাফ্ট অন গ্রাউন্ড’ (Aircraft on Ground বা AOG) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যার অর্থ হল এই বিমানটি আপাতত মেরামতির জন্য উড়ানে ফিরছে না।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ইন্ডিগো ফ্লাইট 6E2142 দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাওয়ার পথে ভয়ানক টার্বুলেন্সের মুখে পড়ে। পাইলট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তবে সব যাত্রী এবং ক্রু নিরাপদে সুস্থ রয়েছেন।’
