
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের রহস্যমৃত্যু! সূত্রের খবর, বিধাননগর সেবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আনার পরে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন সৃঞ্জয়।
জানা গেছে, সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন বছর ছাব্বিশের সৃঞ্জয়। তাঁর ডাকনাম প্রীতম। তিনি নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে একাই থাকতেন মা রিঙ্কু বিয়ে করে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে। সেখানেই মঙ্গলবার সকালে দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর।

এ ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। সোজা কথায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছেই। আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর। ঘটনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে রিঙ্কু মজুমদার। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

মাসখানেক আগেই রিঙ্কু মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের বিয়ের সময়ে সামনে এসেছিল রিঙ্কুর ছেলে সৃঞ্জয়ের কথাও। সে সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা তাঁর। হোটেল ও আনুষঙ্গিক সব বুকিং হয়ে গেছে। সেই কারণে বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। কিন্তু সেই সঙ্গেই জানিয়েছিলেন, রিঙ্কুর বিয়েতে খুবই খুশি তিনি।
যদিও এই বিষয় নিয়ে অফিসিয়ালি এখনও কেউ মুখ খোলেননি। মা রিঙ্কু বা দিলীপ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়াও মেলেনি এই শোকার্ত সময়ে। ফলে ঠিক কী কারণে মৃত্যু, কীভাবে মৃত্যু, তা এখনও পরিষ্কার নয়। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, নিউটাউনের সাপুরজি আবাসন থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।

প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতাল ‘ওহায়ো’-তে। সেখান থেকেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন চিকিৎসকরা, বলেন, সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। সূত্রের দাবি, সে সময়ে জ্ঞান ছিল না সৃঞ্জয়ের। সম্ভবত তার আগেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এর পরেই তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন মা রিঙ্কুও। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলেই ঘোষণা করেন।
এর পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় আরজি কর হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত, সৃঞ্জয় কাজ করতেন সল্টলেকের তথ্য-প্রযুক্তি তালুকে। কর্মরত ছিলেন আইটি ফার্মে। কয়েকদিন আগেই মা বিয়ে করেছেন বঙ্গ বিজেপির তাবড় নেতা দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু, সেই বিয়েতে দেখা যায়নি সৃঞ্জয়কে। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে বাইরে আছেন। সে কারণেই বিয়েতে আসতে পারেননি। তবে মায়ের বিয়েতে যে তিনি খুশি তা স্পষ্টই জানিয়েছিলেন। শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন।