
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্রবিরতির পরেও জম্মু ও কাশ্মীরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। শনিবার রাত ৯টার কিছু আগে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সমাজমাধ্যমে জানান, শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তিনি। অস্ত্রবিরতির কী হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওমর। কিছু সময় পরে একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেন ওমর। সেখানে ওমর লেখেন, “কোন অস্ত্রবিরতি চলছে না। শ্রীনগরের এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি আবার চালু হয়েছে।” জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর এই পোস্টগুলির কিছু সময় আগেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, জম্মু শহরেও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে।
শনিবার বিকেলেই ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল যে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আর্জি জানিয়েছিল এবং তাঁরা তাতে সম্মত হয়েছে। এদিন বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু দেশটার নাম পাকিস্তান । এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে গুলি চালাতে শুরু করেছে তারা। অর্থাৎ, সংঘর্ষবিরতির চুক্তি ভেঙেছে পাক সেনা।

এদিন রাত ৮টার কিছু পরই জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, জম্মু-শ্রীনগর সহ একাধিক এলাকায় সাইরেন বাজাতে হয়েছে এবং সেখানে ড্রোন হামলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। উধমপুরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ মিলেছে সেকারণে কিছু অংশে ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা, বদগামে গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে। ভূ-স্বর্গ ছাড়াও রাজস্থানের বাজমেড়ে সাইরেন বাজানো হয়েছে। সেখানেও ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘সংঘর্ষবিরতি চুক্তির কী হল? গোটা শ্রীনগর জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।’

https://x.com/OmarAbdullah/status/1921224682159661251?t=oFRGSRbFkBp_MoU0BIlqlQ&s=19

সূত্রের খবর, শ্রীনগরে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। কাশ্মীর সেক্টরের উধমপুরেও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। সেখানেও অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে খবর। জম্মু শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে নওসেরা এবং ১৫ কিলোমিটার দূরের আখনুরেও গুলি চলেছে বলে খবর।
গুজরাতের পুলিশমন্ত্রী হর্ষ সঙ্ঘভি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, কচ্ছ জেলায় বেশ কিছু ড্রোন দেখা গিয়েছে। সেখানেও সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এলাকাবাসীকে ভয় না-পেয়ে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গুজরাতের পুলিশমন্ত্রী।
ভারত সরকার জানিয়েছিল, শনিবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে পাকিস্তানের ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস’ ফোন করেন ভারতের ডিজিএমও-কে। এর পর দুই দেশের সম্মতিতে স্থির হয়, সন্ধ্যা ৫টা থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমস্ত রকমের সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে। যুদ্ধবিরতির শর্ত কার্যকর করার জন্য দুই দেশই নিজের নিজের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। ১২ মে ফের দুই দেশের ডিজিএমও-দের মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদেশ সচিব। কিন্তু দেখা গেল, এই ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো চিত্র পাল্টে গেল উপত্যকার।
ভারত সরকার জানিয়েছিল, শনিবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে পাকিস্তানের ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস’ ফোন করেন ভারতের ডিজিএমও-কে। এর পর দুই দেশের সম্মতিতে স্থির হয়, সন্ধ্যা ৫টা থেকে স্থল, জল ও আকাশপথে সমস্ত রকমের সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে। যুদ্ধবিরতির শর্ত কার্যকর করার জন্য দুই দেশই নিজের নিজের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে। ১২ মে ফের দুই দেশের ডিজিএমও-দের মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছিলেন বিদেশ সচিব। কিন্তু দেখা গেল, এই ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো চিত্র পাল্টে গেল উপত্যকার।

সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেই সেনার তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, চুক্তি ভেঙে গোলাগুলি চালালে উপযুক্ত জবাব দেবে ভারতও। পাশাপাশি এও সামনে এসেছিল, সংঘর্ষবিরতি হলেও বাণিজ্য, কূটনীতি এবং আর্থিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও সমঝোতার পথে হাঁটবে না কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, ভারতের বিরুদ্ধে যে কোনও জঙ্গি কার্যকলাপকে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে দেখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।
জম্মু-কাশ্মীরের আকাশে ফের ‘লাল বিন্দু’ দেখা গেছে। মনে করা হচ্ছে, আবার ড্রোন হামলার পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি সীমান্ত থেকে গুলির পাশাপাশি বোমার আওয়াজও মিলেছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার পর স্থানীয় মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন পরিস্থিতি আবার আগের মতো স্বাভাবিক হবে। কিন্তু হল না। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের আসল রূপ সামনে আনল ভারতের প্রতিবেশী দেশ।
