মায়ানমারের মান্দালয়ে শুক্রবার জোরাল ভূমিকম্পে বিশাল বিশাল আকাশচুম্বী বাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। এদিন মায়ানমারের মান্দালয়ে প্রবল তীব্র ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৭। থাইল্যান্ডের রাজধানী শহর ব্যাঙ্কক ও উত্তরাংশের চিয়াং মাই সহ গোটা মায়ানমারে কম্পন অনুভূত হয়। এত জোরাল ভূমিকম্পে দুটি দেশেই বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখনও পর্যন্ত তার পরিমাণ জানা যায়নি। ভূমিকম্পের খবর পেয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের পাশে রয়েছে ভারত। প্রয়োজনে যে কোনও ধরনের সাহায্য করা হবে। দুদেশকেই মন শক্ত করে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। বিদেশ মন্ত্রক ক্রমাগত যোগাযোগ রাখবে দুই দেশের সঙ্গে।
একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ব্যাঙ্ককের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি খোলামকুচির মতো গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশে যায়। আরেকটি ভিডিওতে বিখ্যাত আভা সেতু ভেঙে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। প্রথম কম্পনের মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে আফটার শক দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয় রিখটার স্কেলের ৬.৪ তীব্রতায়।
https://x.com/QueenSNabila/status/1905518535264403573?t=OC1w4TZce8QeZ7qBeklS4w&s=19
মায়ানমারে ভেঙে পড়েছে বিখ্যাত আভা সেতু। সমাজমাধ্যমে তার কিছু ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। (যদিও ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি দেশের সময়।) প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ব্যাঙ্ককে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পরে রয়টার্স তাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রীকে উল্লেখ করে জানায়, জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। তবে ব্যাঙ্ককের অবস্থা গুরুতর।
এই ঘটনার পরেই ব্যাঙ্ককে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সকালের ওই ভূমিকম্পের পরেই ভারতের মেঘালয়ের পূর্ব গারো পাহাড়ে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪। দুপুর ১টা বেজে ৩ মিনিট নাগাদ ওই ভূমিকম্পের আর কোনও খবর এখনও মেলেনি। ব্যাঙ্ককে যে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে তার নীচে ৪৩ জন নির্মাণকর্মী আটকে রয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর।
https://x.com/_SatyaPrakash08/status/1905526430722916621?t=n0RDuuxJxVfWvaXWxZFa1w&s=19
ভূকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসোমলজির খবর অনুযায়ী, ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ পর পর দু’বার এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৭! জানা যাচ্ছে, এর প্রভাব পড়েছে কলকাতা, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেও।
এদিন বেলায় কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনার একাংশের বাসিন্দারা এই কম্পন টের পেয়েছেন। কলকাতার কয়েকটি বহুতলে সিলিং ফ্যান নড়তে দেখেন অনেকে। দেওয়ালে টাঙানো ছবিও নড়তে থাকে। যা দেখে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বহুতল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেও মায়ানমারে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। তখন অবশ্য কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। এবারে ৭.৭, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিমি নীচে। ভূকম্প পর্যবেক্ষণকারীদের মতে, যা যথেষ্ট বেশি।