Matua:মতুয়া ভক্তদের স্বস্তি : ঠাকুর নগর ঠাকুরবাড়িতে দুই পরিবার মিলেই হবে বারুনির মেলা

0
16
হীয়া রায় , দেশের সময়

ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির আকচা-আকচির জেরে এবার মতুয়া মেলার আয়োজন কোন পক্ষ করবে, তা নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। 

হাইকোর্টের নির্দেশে বারুনি মেলা নিয়ে দুই কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসনের শুনানির শেষে এ বছর মিলেমিশে মেলা করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন ঠাকুরবাড়ির প্রতিনিধি তথা বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর।

পারিবারিক বিবাদ, তৃণমূল-বিজেপির দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে দুই কমিটি একসঙ্গে মিলে মেলা করে সাধারণ মতুয়া ভক্তদের কাছে ইতিবাচক বার্তা দিতেই উদ্যোগী হলেন মধুপর্ণা এবং তাঁর মা মমতাবালা ঠাকুর।

এই নিয়ে দাদা শান্তনু ঠাকুর এবং সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন মধুপর্ণা। বোনের কথায় সহমত পোষণ করলেন শান্তনুর দাদা তথা গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। তাঁর মতে, দুই পরিবার এবং দুই কমিটি একসঙ্গে মিলে বারুনি মেলা করলে সবদিকেই ভালো হয়।

হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে ঠাকুরবাড়িতে বারুনি মেলায় লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু এই মেলার দখলদারি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব চলছে। মূলত মমতাবালা এবং তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে শান্তনুর দ্বৈরথে সাধারণ মতুয়াদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গত বছর মেলার দিনে জোর করে প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের মন্দির দখল করেছিলেন শান্তনু, সুব্রতরা।

এই বছরেও নথির জোরে মেলার অনুমতি পেয়েছেন মমতাবালা। কিন্তু এ বার মেলা নিয়ে দু’পক্ষকে প্রথম থেকেই ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে। মধুপর্ণা বলেন, ‘এ বছর একসঙ্গে মিলেমিশে মেলা করার জন্য দুই কমিটি বসে বৈঠক করবে। দুই কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি হবে একটি কমিটি। দুই পরিবার মিলেমিশে থাকলে সবচেয়ে খুশি হবেন মতুয়া ভক্তরাই।’

সুব্রত ঠাকুর বলেন, ‘দুই কমিটি মিলে মেলা করার পক্ষে আমরা। রাজনীতিকে বাইরে রেখে একসঙ্গে মেলা করলে সাধারণ মতুয়া ভক্তদের কাছেও ইতিবাচক বার্তা যায়।’

Previous articleAir India Passenger Death আকাশপথেই মৃত্যু?অবতরণের পর বিমান থেকে উদ্ধার যাত্রীর মৃতদেহ
Next articleপ্রেমের টানে ‘কাঁটা তার’ টপকে যাবে ওপার বাংলায়! ডায়মন্ড হারবারের বাড়ি থেকে পালিয়ে গভীর রাতে পেট্রাপোল সীমান্তে  পৌঁছায় কিশোরী , দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here