মিলন খামারিয়া, বিহার,১১ই ফেব্রুয়ারি :ফলচাষে এবং ফলের চারা উৎপাদন ও বিপণনে সফল উদ্যোগপতি রাণাঘাটের নাইকুড়া গ্রামের চারাকুশলী সুশোভন বালাকে ‘ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ’ পুরস্কৃত ও সংবর্ধিত করল। আজ ভাগলপুরে বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বভারতীয় সমন্বিত ফল গবেষণা প্রকল্পের ১২ তম সামূহিক পরিচর্চা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চার দিবসীয় এই কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের চারাকুুলী এবং আধুনিক চাষী সুশোভন বালাকে; ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের ডেপুটি এবং অ্যাডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেলদ্বয়ের উপস্থিতিতে, এবং বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও আনন্দ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যদের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে পুরস্কৃত করা হয়।
সুশোভন কয়েকবছর ধরে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মন্ডৌরী ফল গবেষণা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন৷ তপশিলি জাতির উদ্যানপালকদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ভারত সরকারের আই.সি.এ.আর। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কার্যক্রম চালু আছে। সেখানে বিগত কয়েক বছরে কয়েক শত তপশিলি জাতির চাষী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। বিশেষ করে উন্নত ফলের চারা তৈরি এবং উন্নতপ্রযুক্তির ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করেছেন।
প্রশিক্ষণের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা ফলচাষের বাগান রচনা করতে থাকেন। সফল বাগিচা মালিক ও চারাকুশলী হিসাবে ২০২৪ সালে গুজরাট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমাদের রাজ্যের আর একজন চাষী নদীয়ার গাংনাপুর গ্রামের বিপ্লব সরকার পুরস্কৃত হন। পরপর দুটি বছরে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষিত উদ্যোগপতি পুরস্কৃত হওয়ায় সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিশেষ আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল গবেষণা প্রকল্পের আধিকারিক অধ্যাপক দিলীপ কুমার মিশ্র পরপর দুই বার পশ্চিমবঙ্গের চাষীর এই সাফল্য লাভের খবরে আনন্দিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে অধ্যাপক মিশ্রের নেতৃত্বে ছয়জন অধ্যাপক ভাগলপুরে অনুষ্ঠিত এই সামূহিক বৈজ্ঞানিক পরিচর্চায় উপস্থিত রয়েছেন। উদ্যানবিজ্ঞানী অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তীর বিশেষ উৎসাহে প্রায় এক দশক ধরে বি.সি.কে.ভি’র ফল গবেষণা কেন্দ্রে শুরু হয় নিয়মিত প্রশিক্ষণ শিবির। তিনি সুশোভন বালাকে সম্বোধন করেন একজন সফল কৃষি-শিক্ষক, কারণ তাঁর প্রয়াস আরও নতুন নতুন কৃষককে সম্পৃক্ত করে নার্সারী ব্যবসাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ পরিচালিত ভাগলপুরের এই বাৎসরিক কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারী।