কনকনে শীতের সন্ধ্যায় এক বেসরকারি বাগান বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান জমে উঠেছিল। ঐতিহ্য মেনে সেখানে হাজির ছিলেন বর ও কনের পরিবারের লোকেরা। উপাচার মেনে চলছিল বিয়ের মাঙ্গলিক কাজ প্রচণ্ড শীতের মধ্যে খোলা জায়গায় মঞ্চে হয় মালা বদল পর্বও। সম্পন্ন হয় বিয়ে। এরপর বর ও কনে-সহ দুই পরিবার ভুরিভোজ করে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছিলেন। বিদায়ের সময় বর কনেকে একত্রিত করে পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ শুরু করতেই ঘটে বিপত্তি।
খোলালা আকাশের নীচে ওই রীতি পালনের সময় বর কাঁপতে জ্ঞান হারায়। হতভম্ব হয়ে য়ায় বরের পরিবার। জ্ঞাহীন অর্ণবকে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। বরের তালু এবং পায়ের পাতা ঘষতে দেখা যায় আত্মীয়দের। এদিকে স্থানীয় একজন ডাক্তারকেও ডাকা হয়। দেড় ঘণ্টা পর অর্ণবের জ্ঞান ফেরে। এসব দেখে, পাত্রী অঙ্কিতা বিয়ে ভাঙতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
এক নিমেষে জমজমাট বিয়ের আসর বদলে গেল শ্মশানের নিস্তব্ধতায়। দেওঘরের ঘোড়ামারার ঘটনা। অতিরিক্ত শীতে বিয়ে অনুষ্ঠানে বর জ্ঞান হারাতেই বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন কনে।
গত ১৫ ডিসেম্বর দেওঘরের ঘোড়ামারার বাসিন্দা অর্ণবের সঙ্গে বিয়ে ছিল বিহারের ভাগলপুরের অঙ্কিতার। বিয়ের আসর বসে সাধারণত কনের বাড়িতেই। কিন্তু এক্ষেত্রে উল্টো। বরের পৈত্রিক ভিটেতে আয়োজন করা হয় বিয়ের অনুষ্ঠানপর্ব। বরের পরিবারের তরফেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল অবশ্য এসবে রাজি ছিল না করে অঙ্কিতা কিন্তু বরের বাড়ি সে কথায় আমল দেয়নি উল্টে কিছুটা জোর করেই এসবে উদ্যোগী হয়।
সম্পন্ন হয় বিয়ে। বিদায়ের সময় বর কনেকে একত্রিত করে পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ শুরু করতেই ঘটে বিপত্তি।
পাত্রী অঙ্কিতার আশঙ্কা যে, অর্ণব স্নায়ুর কোন জটিল রোগে ভুগছেন। তাঁর অভিযোগ, ছেলের রোগ চেপে যেতেই অর্ণবের পরিবার জোর করে নিজেদের জায়গায় বিয়ের আসর বসিয়েছিল। কনে বিয়ে ভাঙতে চাইলে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়, যা পরে বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছিল। শেষে কনের পরিবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে এবং বিরোধ মেটাতে সহায়তা করার জন্য পুলিশকে ফোন করেছিল। শেষে অর্ণব-অঙ্কিতার বিয়ে বাতিল বলেই ঘোষণা করা হয়।