বনগাঁ :আগামী ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের ছেলে শুভজিৎ। বনগাঁর দত্তপাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত সাধুর মেয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার রাখীর সঙ্গে শুভ পরিণয় হতে চলেছে তাঁর। ভূগোলে স্নাতকোত্তর শুভজিৎ ইউপিএসসি পরীক্ষার কোচিং নেওয়ার জন্য দিল্লিতে ছিলেন। তখনই দু’জনের পরিচয়। সম্পর্ক তৈরি। অবশেষে চার হাত এক হতে চলেছে।
হবু ওই নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।একসময় চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ডুবে থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আইকন’ করে নাম লেখান রাজনীতিতে। লড়াই করেন পঞ্চায়েত ভোটে। তবে জীবনে প্রথম রাজনীতির লড়াইয়ে নেমে ছোট মাঠ নয়, বেছে নিয়েছিলেন বড় মাঠ। শুভজিৎ লড়াই করেন একেবারে জেলা পরিষদের আসনে। শিক্ষিত, তরুণ প্রার্থী শুভজিৎকে মানুষ দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করায় ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কমিটি রয়েছে, তাতেও রয়েছেন শুভজিৎ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। এবার জীবনের নয়া ইনিংস শুরুর আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা পেয়ে উজ্জীবিত ওই হবু দম্পতি। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও তাঁর স্ত্রী শুভ্রাকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘শুভজিৎ ও রাখী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে জেনে আনন্দিত হয়েছি। শুভ বিবাহের প্রাক্কালে হবু দম্পতিকে আমার অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ওদের জীবন সুখের হোক। ওরা খুব ভাল থাকুক। মঙ্গলময় ঈশ্বরের কাছে এই কামনা করি।’’
মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাণী পেয়ে দারুণ খুশি। বললেন, ‘‘বিয়েতে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ পাব, এটা কোনওদিন ভাবতে পারিনি। খুব ভাল লাগছে।’’