সঙ্গীতা চৌধুরী : সম্প্রতি বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অর্ঘ্য সেনের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হল দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বাসভবনে। অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন বহু সঙ্গীতশিল্পী। তাঁরা সঙ্গীতের মাধ্যমে এই প্রবীন শিল্পীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। ঘরোয়া ভাবে পালিত হলেও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিকের বাসভবনে অনুষ্ঠানটি অন্য মাত্রা পায়। দর্শকদের মধ্যে সঙ্গীত মহলের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। দেখুন ভিডিও
‘একা একা করি খেলা ‘ নামাঙ্কিত অনুষ্ঠানটি ‘মধুস্বরা’র নিবেদন। তবে গোটা অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মানস পাল। প্রবীন শিল্পী অর্ঘ্য সেনের সঙ্গীত চর্চা শুরু হয়েছিল ছাত্রাবস্থাতেই। স্কুলে থাকাকালীন কিছুদিন অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখেন। এরপর দেবব্রত বিশ্বাস। তারপর শিখেছেন প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার কমল দাশগুপ্ত, রজনীকান্তের দৌহিত্র দিলীপ কুমার রায়, সুপ্রভা সরকার প্রমুখের কাছে। অর্ঘ্য সেন ১৯৯৭ সালে ভারত সরকারের সংস্কৃতিচর্চার সর্বোচ্চ ভারতীয় স্বীকৃতি হিসেবে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার লাভ করেন এবং ‘টেগোর ফেলো’ নির্বাচিত হন।
স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী শুভাশীষ মজুমদারের গান উপস্থিত দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সুচিত্রা মিত্রের ছাত্র শিল্পী উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গীত মূর্ছনা শরৎচন্দ্রের গোটা বাড়িকে যেন আলোড়িত করে তোলে। অনুষ্ঠানের শিল্পী তালিকা ছিল অনেক দীর্ঘ। প্রত্যেকের পরিবেশনাতেই ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠা। শিল্পীরা সকলেই দক্ষতার পরিচয় দেন। যেমন- রঞ্জন সেন, মানস পাল, অতসী নিয়োগী, শান্তনু মিত্র, সচ্চিদানন্দ ঘোষ, বাবলি দাস প্রমুখ। সঙ্গীত ছাড়াও আবৃত্তি করেন বুলবুল গাঙ্গুলি। এছাড়া আরও কয়েকটি পরিবেশনা দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মানস পাল।