দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত হল ৭৩ তম মিস ইউনিভার্স। এ বারের প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা পেয়েছে ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া। তবে এ বিষয়ে পিছিয়ে নেই মিশরও। ১৭ নভেম্বর মেক্সিকোর মঞ্চে ইতিহাস গড়েছে মিশর। মিস ইউনিভার্সের ৭৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়েছে মিশর। সৌজন্যে অবশ্যই সেই দেশের প্রতিযোগী লগিনা সালাহ। তবে শুধু এটাই নয়, লগিনা ভেঙেছেন চিরাচরিত বিউটি স্ট্যান্ডার্ড। মিস ইউনিভার্সের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রতিযোগী যিনি শ্বেতি (vitiligo) নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।
তাঁর হাত ধরে সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞায় বদল। মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে এই প্রথম কোনও প্রতিযোগী অংশ নিলেন যিনি শ্বেতি নামক এই অটো-ইমিউনড রোগে আক্রান্ত। নিজের অনন্য এই যাত্রাকে সসম্মানে গ্রহণ করে, আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব়্যাম্পে হাঁটেন লগিনা। আসল সৌন্দর্য কী ভাবে মানুষের বাহ্যিক চেহারাকে ছাপিয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পিচ তৈরি করেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলের ১.৮ মিলিয়ন ফলোয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সালাহ লেখেন, ‘এই সফরে আমার সঙ্গী হওয়ার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ। এমন এক পৃথিবী গড়ার দিকে এগিয়ে চলা যাক যা ঘৃণা ও বিভেদ মুক্ত।’
https://www.instagram.com/reel/DCjW4A6KJgd/?igsh=MTczamJsY2VmZGdpbQ==
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্যাশনকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রশংসার বন্যা। একজন লেখেন, ‘আমাদের মধ্যে পার্থক্য যাই হোক না কেন, তা বাধা হয়ে দাঁড়ায় না স্বপ্নকে সত্যি করতে। গোটা পৃথিবীকে সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’ অন্য একজন লেখেন, ‘আমাদের হৃদয় বহু আগেই আপনি জয় করেছেন এবং এখন সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরও হাজার হাজার নাম।’
১৯৯০ সালের ২১ এপ্রিল মিশরে জন্মগ্রহণ করেন লগিনা সালাহ, বড় হয়ে উঠেছেন আলেকজ়ান্দ্রিয়ায়। শ্বেতি বা ভিটিলিগো সংক্রান্ত সচেতনতা ছড়ানোর মাধ্যমেই তাঁর ‘বিউটি ওয়ার্ল্ড’-এ প্রবেশ। বিশেষ ধরনের মেকআপ টেকনিকে সকলের জন্য সুরক্ষিত স্থান তৈরির চেষ্টা করেন তিনি। বছর তিনেক আগে ১০ বছরের মেয়ে অ্যামিকে নিয়ে দুবাই চলে যান লগিনা। নিজের স্বপ্ন সত্যি করার জন্যই এই পদক্ষেপ করেন।