School Student Died in Road Accident দুটি বাসের রেষারেষি, দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার, সল্টলেকে পথ অবরোধ বাস ভাঙচুর : দেখুন ভিডিও

0
89

দেশের সময় কলকাতা : মঙ্গলবার সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু হল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের। মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল শিশুটি। সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের সামনে সল্টলেক-হাওড়া রুটের বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় সে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার জেরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়েরা। অবরোধকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথাবার্তা বলেছে পুলিশ। দেখুন ভিডিও

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেক ২ নম্বর গেটের সামনে। বেহালার পরে ফের এমন ঘটনা ঘটায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আয়ুষ পাইক। সে কেষ্টপুরের একটি স্কুলে পড়ত। মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রটি। তার বাড়ি মানিকতলায়। সে সময় সল্টলেকের রাস্তায় দু’টি বাসের রেষারেষি চলছিল। তার মধ্যে একটি বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় শিশুটি। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির মাকেও ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। এর পরেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়েরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুটি বাস রেষারেষি করছিল। তখনই ওই স্কুল পড়ুয়া মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। কোনও কিছু না দেখেই সল্টলেক-হাওড়া রুটের একটি বাসের চালক ওই স্কুল পড়ুয়াকে ধাক্কা মারে। এর পরেই স্কুল পড়ুয়ার দেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলেও দফায় দফায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সল্টলেকে ২ নম্বর গেট চত্বর। এতে যানজট তৈরি হয় বাইপাসে। 

পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন, বাস ভাঙচুর করেন।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে এলাকায়। পুলিশ ঠিক মতো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলে এমন ঘটনা ঘটত না। এদিকে রাস্তার এক পাশ অবরোধ মুক্ত করা গেলেও বাইপাসে গাড়ি চলাচল খুব ধীর গতিতেও হচ্ছে। ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত অক্টোবর মাসে মহালয়ার দিন সকালে বাঁশদ্রোণীতে এক ছাত্রকে জেসিবি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির জন্য ওই এলাকায় ছিল জেসিবিটি। নবম শ্রেণির ওই ছাত্র কোচিং সেন্টার যাচ্ছিল। পথে তাকে ধাক্কা দেয় জেসিবি। তার মাথায় চোট লাগে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। রাস্তার বেহাল দশাকেই তাঁরা দায়ী করেন। পাটুলি থানার ওসিকে কাদাজলে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে।

২০২৩ সালের অগস্টে বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। সৌরনীল সরকার নামে ওই ছাত্রকে পিষে দেয় লরি। লরির ধাক্কায় আহত হন তার বাবাও। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডায়মন্ড হারবার রোডেই সৌরনীলের দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা।

দফায় দফায় পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশের ভ্যান এবং মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় সরকারি বাস। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়েও পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাল্টা জনতার ছোড়া পাথরের ঘায়ে আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। প্রায় চার ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় সৌরনীলের দেহ।

Previous articleED Raid অনুপ্রবেশের ‘কালো’ টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার? সীমান্ত শহর বনগাঁ-সহ দেশের নানা প্রান্তে ইডির হানা: দেখুন ভিডিও
Next articleEskaymovies এক সঙ্গে১৮ টি বাংলা ছবি মুক্তির দিন ঘোষণা করল কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ : দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here